পাউরুটি দিয়ে তৈরি করতে পারেন খুব সহজ আর সুস্বাদু এই পুডিং।
Published : 19 Mar 2016, 12:12 PM
রেসিপি দিয়েছেন আমেনা আলি মেঘলা।
উপকরণ: পাউরুটি ৮ টুকরা। দুধ ২ কাপ (সাধারণ তাপমাত্রার)। ডিম ৫টি। কনডেন্সড মিল্ক ১ ক্যান। চিনি ৩,৪ টেবিল-চামচ (স্বাদমতো নিতে পারেন)। ভ্যানিলা এসেন্স ২ চা-চামচ। মাখন (গলানো) ৪ টেবিল-চামচ। দারুচিনিগুঁড়া এক চিমটি (ইচ্ছা)।
পদ্ধতি: স্টিলের বাটি অথবা বেইকিংয়ের গোল কেক প্যান যেটাতেই পুডিং বানাবেন, সেটার ভিতরে ঘি মাখিয়ে সামান্য ময়দা ছিটিয়ে নিন চারপাশে৷
পাউরুটির চারপাশের শক্ত অংশগুলো ফেলে দিয়ে, সাদা অংশগুলো ছোটছোট টুকরা করে কেটে নিতে হবে৷
বাটিতে ডিম আর চিনি দিয়ে ভালো করে ফেটে নিয়ে সঙ্গে কনডেন্সড মিল্ক, দুধ, ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে আবার ফেটতে হবে।
এবার দুধ ডিমের মিশ্রণে, কেটে রাখা পাউরুটিগুলো দিয়ে আলতোভাবে সব মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন৷ এতে পাউরুটিগুলো নরম হয়ে দুধের সঙ্গে মিশে যাবে ৷
এবার দুধ, ডিম, পাউরুটির মিশ্রন গ্রিস করা বোলে ঢেলে দিন। উপর দিয়ে কিশমিশ, এক চিমটি দারুচিনি-গুড়া ছিটিয়ে দিন।
একটা বড় হাঁড়িতে পানি নিন। এমন পরিমাণে পানি দিতে হবে যাতে পুডিংয়ের বাটিটা ওই হাঁড়িতে রাখলে পানির উচ্চতা পুডিংয়ের বাটির অর্ধেকের বেশি না হয়।
চুলায় আঁচ হালকা দিন।
চুলার উত্তাপে পানি বাস্প হবে, আর সেই বাস্পে পুডিং জমে যাবে।
মাঝে মাঝে খেয়াল রাখতে হবে যাতে হাঁড়ি থেকে পানি ওই পুডিংয়ের মিশ্রণে না যায়। তাহলে জমবে না পুডিংটা৷
প্রায় ৫০ মিনিটের মাঝে পুডিংটা তৈরি হয়ে যাবে।
৫০ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে, পুডিংয়ের বাটিটা হাঁড়ির ভেতর থেকে বের করে নিন।
ছুরি দিয়ে পুডিংয়ের চারপাশ বোল থেকে আলগা করে নিয়ে উপরে একটা প্লেট দিয়ে ব্রেড পুডিং বোলের উপর রেখে দুই হাত ধরে বাটি উল্টে দিন।
প্লেটে পুডিং নামিয়ে ঠাণ্ডা বা গরম পরিবেশন করুন৷
মনে রাখবেন: ওভেন করতে চাইলে ৩৫০ ডিগ্রি ফা. (১৮০ ডিডিগ্র সে.) তাপমাত্রায় প্রি হিট করে নেবেন। একটি ট্রেতে হালকা পানি দিয়ে পুডিংয়ের বাটি বসিয়ে এক ঘন্টা বেইক করবেন৷
আর প্রেসার কুকারে করতে চাইলে, কুকারের ঢাকনার রাবার খুলে রেখে দিতে হবে। তারপর প্রেসার কুকারে পুডিংয়ের বাটির সমান পানি দিয়ে বাটিটা বসাতে হবে। তারপর কুকারের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে ছয় থেকে সাতটা সিটি বাজলে খুলে দেখতে হবে হয়েছে কিনা।
যদি না জমে তাহলে আরও ছয়, সাতটা সিটি দিতে হবে। আর খেয়াল রাখতে হবে যেন কুকারের পানি শুকিয়ে না যায়।
সমন্বয়ে: ইশরাত মৌরি।