কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে জীবনের সমস্যার মাঝেও ভালো থাকা যেতে পারে।
Published : 01 Nov 2015, 04:12 PM
লাইফস্টাইলবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে সমস্যার মাঝেও ভালো থাকার জন্য করণীয় কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস বাতিল করুণ
অদরকারি জিনিসগুলো ঘরে জমিয়ে না রেখে বিক্রি করে দেওয়া যেতে পারে বা কাউকে দিয়েও দেওয়া যেতে পারে। এতে ঘরে অপ্রয়োজনীয় জিনিসের স্তূপ হবে না। ঘর সাজানো গোছানো থাকলে মানসিকভাবেও স্বস্তি পাওয়া যায়।
কাজের আগে নিজের কথা চিন্তা করা
জীবনে কাজ অত্যন্ত জরুরি। তবে এর থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল নিজের কথা ভাবা। তাই প্রতিদিন কাজের পাশাপাশি নিজের জন্য খানিকটা সময় বের করে নেওয়া উচিত। এতে মানসিক চাপ কিছুটা কমবে।
গুছিয়ে কাজ করা
প্রতিদিনের কাজগুলো গুছিয়ে করা হলে অনেক সমস্যাই সহজ হয়ে যায়। তাছাড়া নিজের ঘরও গুছিয়ে রাখা উচিত। এতে দরকারি সময়ে কোনো কিছু খুঁজে পেতে সমস্যায় পড়তে হয় না। আর এতে অনেকটা সময়ই বেঁচে যায়।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস না কেনা
বাজারে গিয়ে হুজুগের বশে এমন অনেক কিছুই কেনা হয় যা কোনো কাজেই আসে না। এতে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায় এবং ঘরেও জমতে থাকে অপ্রয়োজনীয় জিনিস। তাই কোনো কিছু কেনার আগে নিজেকে প্রশ্ন করতে পারেন, এই জিনিসটি আসলেও প্রয়োজন আছে কিনা।
নিজেকে প্রাণোচ্ছল রাখতে কিছু করুণ
ভালোবাসেন এমন কাজ করার জন্য খানিকটা সময় আলাদা করে রাখা উচিত। গান গাওয়া, নাচা, ছবি আঁকা বা ব্যায়াম করা ইত্যাদি যে কাজে আনন্দ পাওয়া যায় তা করা উচিত। এতে মন ভালো থাকবে এবং কাজ করার ইচ্ছাও বাড়বে।
প্রতিদিনের কাজ উপভোগ করা
প্রতিদিন যে কাজগুলো করতে হয় সেগুলোতে বিরক্ত না হয়ে উৎসাহ নিয়ে করার চেষ্টা করুণ। এতে কাজের চাপ অনেকটা কমে আসবে। প্রতিদিনের ঘরের কাজ যেমন ঘর গোছানো, রান্না করা ইত্যাদির ক্ষেত্রে অনেক সময়ই একঘেঁয়ে লাগতে পারে। এক্ষেত্রে কাজ করার সময় প্রিয় গান শোনা যেতে পারে। এতে একঘেঁয়েভাব কিছুটা দূর হবে।
অনুপ্রেরণা জাগায় এমন বস্তু সংগ্রহে রাখা
বিভিন্ন লেখা, গল্প, ছবি ইত্যাদি আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে। এ ধরনের জিনিস সংগ্রহে রাখা যেতে পারে।
চা বা কফি এড়িয়ে গ্রিন টি
সুস্থ শরীরের জন্য গ্রিন টি’র উপকারীতার শেষ নেই। তাছাড়া চা ও কফির অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই গ্রিন টি পান করার অভ্যাস করা শরীর ও মন দুইয়ের জন্যই উপকারী।
নগদ টাকার ব্যবহার
যারা কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড বেশি ব্যবহার করেন তাদের ক্ষেত্রে একসঙ্গে বড় অঙ্কের টাকার চাপ পড়ার সম্ভাবনা থাকে। যা অনেক ক্ষেত্রে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই নগদ টাকার ব্যবহার বাড়ানো গেলে খরচের একটি হিসাবের পাশাপাশি পরে মানসিক চাপও এড়ানো যাবে।
নেতিবাচক মানুষদের এড়িয়ে চলা
কিছু মানুষ অন্যকে উৎসাহ দেওয়ার বদলে তাদের বিষয়ে খারাপ কথা বলতেই বেশি পারদর্শী হয়ে থাকেন। এমন মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলা নিজের জন্যই উপকারী।
রান্না করা
নিত্য নতুন খাবার রান্না করা মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে।
মনোযোগের সঙ্গে কাজ করা
যে কাজই করা হোক না কেনো তা মনোযোগের সঙ্গে করতে হবে। এতে কাজ নিখুঁতভাবে করা সম্ভব।
যে কাজ করছেন সেখানে আনন্দ না পেলে নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করুণ, আপনি কি চান! নিজের ভকিষ্যত সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে পারলে অনেক কাজেই সহজ হয়ে যায়।
বাস্তবধর্মী লক্ষ্য
লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় তা অর্জন করার জন্য। তাই লক্ষ্য হওয়া উচিত বাস্তবধর্মী। যা অর্জন করা সম্ভব।
ভালোবেসে কাজ করুণ
যা করে আনন্দ পাবেন তাই করুন। এ নিয়ে হীনম্মন্যতায়ও ভোগা উচিত নয়। এতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করা সম্ভব।