প্রসাধনীর রাসায়নিক উপাদানের কারণে ঠোঁট-ফাটাভাব দেখা দিতে পারে।
Published : 12 Jul 2023, 06:16 PM
বার বার লিপবাম ব্যবহারের পরেও যদি ঠোঁট শুষ্ক, খসখসে ও অস্বস্তিকর হতে থাকে তবে এর কারণ হতে পারে ঠোঁটে ব্যবহৃত প্রসাধনী।
প্রসাধনীর অ্যালার্জিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে এমনটা হতে পারে।
রিয়েলসিম্পেল ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নিউ ইয়র্কের মন্টেফিয়র অ্যাডভান্সড কেয়ার’য়ের ‘কসমেটিক ডার্মাটোলজি’র পরিচালক ডা. সিনিয়া কবেটস বলেন, “ত্বক বিশেষজ্ঞ হিসেবে আমি দেখেছি সাধারণত লিপস্টিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে এমনটা হয়ে থাকে।”
ডা. কবেটসের মতে, “লিপস্টিকে থাকা সাধারণ কিছু উপাদান যেমন- নিকেল, ডাইজ, ঘ্রাণ এবং সুগন্ধির মিশ্রণের কারণে এমনটা হয়ে থাকে।”
এছাড়াও লিপ বাম ও লিপস্টিকে থাকা রাসায়নিক সানস্ক্রিন বিশেষ করে ‘অক্সিবেঞ্জোন’ বা ‘বেঞ্জোফেনোন-থ্রি’র কারণে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে।
অদ্ভুত বিষয় হল, ঠোঁট আর্দ্র রাখে এমন উপাদান যেমন- ‘ল্যানোলিন’ ও ‘প্রোপোলিস’য়ের অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া থেকেও অনেকের সমস্যা হয়।
লিপস্টিকের অ্যালার্জিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে যেমন হয়
লিপস্টিকের অ্যালার্জির কারণে ঠোঁট শুষ্ক, লালচে ও ফোলা হতে পারে। তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাত্রা বৃদ্ধিতে ঠোঁট ফাটা, লাল, চামড়া ওঠা, ঠোঁটের কোণায় জ্বালাপোড়া এবং পরে ঠোঁটের চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
ডা. কোবেটস বলেন, “ঠোঁটের অ্যালার্জি পুনরায় দেখা দিতে পারে। অথবা ফোস্কা এমনকি আমবাত বা ছোট ছোট লালচে দানাও উঠতে পারে।”
লিপস্টিকের অ্যালার্জি ও শুষ্ক ঠোঁটের পার্থক্য
যদিও দুইটি ভিন্ন অবস্থা। তবে ডা. কোবেটস জানান, শুষ্ক ঠোঁট থেকে অ্যালার্জির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
তার কথায়, “দীর্ঘস্থায়ী শুষ্কতা কখনও কখনও অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এতে ঠোঁটের ত্বকের সুরক্ষার স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সময়ের সাথে সাথে এসব উপাদান ঠোঁটের গভীরে প্রবেশ করে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া স্রৃষ্টি করতে পারে।”
লিপস্টিকের সংস্পর্শে আসার কয়েক ঘন্টা, দিন বা সপ্তাহখানের পরে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
লিপস্টিক অ্যালার্জি প্রতিকারের উপায়
প্রথমত ভ্যাসলিন ছাড়া সব ধরনের লিপস্টিক ও লিপ বাম ব্যবহার বাদ দিতে হবে। না হলে জ্বালাপোড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এছাড়া ‘হাইড্রোকোর্টিসন ১%’ মলম দিনে দুবার করে এক সপ্তাহ ব্যবহার করতে হবে।
যে কোনো অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়ায় জন্য অ্যান্টি হিস্টামিন্স যেমন- ‘ক্ল্যারিটিন’ বা ‘জাইরুটেক’ অথবা ‘অ্যালেগ্রা’ এক টানা কয়েকদিন গ্রহণ করা যেতে পারে।
যদি এগুলো কাজ না করে তাহলে নিবন্ধিত কোনো ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।