আজকের ছোট কাজ আগামীকালের বড় ঝামেলা থেকে রক্ষা করতে পারে।
Published : 25 Feb 2025, 12:05 PM
সাজানো গোছানো বাসা দেখতে বেশ লাগে। মনেও শান্তি আনে। তবে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও খাটনিকর।
এজন্য প্রতিদিন ছোটখাট উদ্যোগ নিলে পরে বড় পরিসরে গুছিয়ে রাখার কাজ করতে হয় না। এতে খাটনিও কমে।
নিউ ইয়র্ক সিটি’র ‘হর্ডার্লি প্রফেশনাল অর্গানাইজিং’য়ের প্রতিষ্ঠাতা জামি হর্ড এই বিষয়ে রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন, “পরিষ্কার রাখার প্রতিদিনের ছোটখাট অভ্যাস বড় ঝামেলা থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে।”
যখনকার কাজ তখনই করা
খাওয়ার পর টেবিল থেকে থালাবাটি সরানো, ধোয়া কাপড় শুকানোর পরপরই গুছিয়ে রাখা বা ঘরের ফিরে বাইরের পরনের কাপড়-জামা বদলিয়ে তখনই গুছিয়ে রাখার মতো অভ্যাসগুলো পরে বাড়তি কাজের চাপ থেকে রক্ষা করতে পারে।
একই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের গোছগাছ-বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘অপারেশন অর্গানাইজেশন’য়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্যাটরিনা টিপলি এই বিষয়ে বলেন, “মাত্র কয়েক মিনিট অতিরিক্ত সময় খরচে এসব কাজ করলে পরে অতিরিক্ত বড় কাজের চাপ এড়ানো যায়। আর সবসময় ঘর জঞ্জাল মুক্ত রাখা সম্ভব হয়।”
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় রাখা
দিনের শেষে ১৫ মিনিট সময় নির্দিষ্ট করে রাখা যেতে পারে, যখন ঘরের টুকটাক অগোছালো হয়ে থাকা জিনিসগুলো গুছিয়ে রাখা যেতে পারে। হতে পারে সেটা টেবিলের ওপর পড়ে থাকা কোনো অপ্রয়োজনীয় বাক্স বা চেয়ারের ওপর রাখা অগোছালো পোশাক।
সবসময় জঞ্জাল মুক্ত করা
পরে করবো বলে বসে না থেকে, সাথে সাথে জঞ্জাল ফেলে দেওয়া হল ঘরে পরিষ্কার রাখার অন্যতম পদ্ধতি।
হর্ড বলেন, “যে জিনিস কাজে লাগছে না সেটা এখনই ডাস্টবিনে ফেলে দিন। জমিয়ে রাখার দরকার নেই। যেমন- কোনো জিনিসের বাক্স, ঠোঙা, ওষুধের পাতা ইত্যাদি।”
সাজানোর জিনিসের স্থান পরিবর্তন
ঘর সাজানোর জন্য সব জিনিস বা ছবি একসাথে প্রদর্শন না করে, কয়েকদিন পরপর দুয়েকটা ছবি বা ‘শো পিস’ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে রাখা যেতে পারে।
হর্ড বলেন, “নিয়মিতভাবে মাঝে মাঝে এসব জিনিসের স্থান পরিবর্তন করে সাজিয়ে রাখলে দেখাতে যেমন নতুনের ছোঁয়া মিলবে তেমনি অনেক জিনিস একসাথে প্রদর্শন না করার কারণে অগোছালো ভাবটাও আসবে না।”
পরিষ্কারের ক্ষেত্রে একই রকম জিনিস একসাথে করা
যদি গোছানোর বিষয়টা হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়, সেক্ষেত্রে টিপলি’র পরামর্শ হল- প্রথমে একই রকম জিনিস একত্র করা।
তিনি বলেন, “একটা একটা করে জিনিস বাছাই করে ফেলতে গেলে সময় বেশি লাগে। তাই আগে জঞ্জালের মধ্যে একই রকম জিনিসগুলো ‘গ্রুপ’ হিসেবে আলাদা করে, অপ্রয়োজনীয়গুলো ফেলে দিতে পারেন। এতে সময় ও খাটনি- দুটোই কমবে।”
একটি আসলো, একটি গেল
ঘরে অনেক জিনিস হয়ে গেছে, নতুন কোনো কিছু ঘরে রাখার তেমন কোনো জায়গা নেই। এক্ষেত্রে একটা আনলে একটা বাদ- পদ্ধতি অনুসরণ করা যেতে পারে।
হর্ড বলেন, “যেমন- নতুন কোনো টি-শার্ট কেনা হলে, ঘরে থাকা পুরানো দেখতে বাজে হয়েছে এমন টি-শার্ট বাতিল করে ফেলে দিতে পারেন। বা পুরানো জিনিস পরিবর্তন করে নতুন জিনিস আনা।”
এত ঘর জিনিস দিয়ে বোঝাই- এরকম অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ভাগে ভাগে কাজ করা
ছোট ছোট পদক্ষেপে কাজ করলে পরিষ্কার রাখার বিষয়টা সহজ হয়।
টিপলি বলেন, “কাজগুলো ভাগ করে অল্প করে আগালে চাপ কম পরে। আর এভাবে কাজের অর্ধেক আগিয়ে ফেললে, পুরো কাজ শেষ করারও উদ্যোম পাওয়ায়।
যেমন- পরিবারের একেক সদস্যের জামা-কাপড় আলাদা করে নিয়ে গোছানো। বাথরুমে পরিষ্কার রাখতে খালি হওয়া শ্যাম্পু বা সাবানের বোতল এক জায়গায় রাখা, তারপর ফেলে দেওয়া – ইত্যাদি।
আরও পড়ুন
ঘর পরিষ্কারের সাপ্তাহিক অভ্যাস