মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে করণীয়

সুস্থ মাথার ত্বক মানে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Nov 2023, 09:34 AM
Updated : 21 Nov 2023, 09:34 AM

চুল ভালো রাখতে মাথার ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। সুস্থ মাথার ত্বক মানে মসৃণ, শক্ত এবং ঘন চুল।

মাথার ত্বক সুস্থ থাকা বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে যেমন- পরিবেশগত অবস্থা, বংশগতি ইত্যাদি।

তবে মাথার ত্বকের সুস্থতা রক্ষায় কিছু কৌশল অনুসরণের প্রয়োজন হয়।

সুস্থ মাথার ত্বকের লক্ষণ

মাথার ত্বক শুষ্ক, ব্রণ প্রবণ ও খুশকিযুক্ত হলেও যত্নের মাধ্যমে সমাধান পাওয়া যায়।

এই বিষয়ে মার্কিন চুল বিশেষজ্ঞ এবং ‘ইটার্নাল হেয়ার অ্যান্ড এস্থেটিকস’য়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এইব আইশ বলেন, “সুস্থ মাথার ত্বক হয় গোলাপি আভার, আর্দ্র, মসৃণ এবং দানা ও লালচেভাব মুক্ত। চুল আঁচড়ানোর সময় কোনো রকমের ব্যথা বা মৃত কোষের দেখা মিলবে না।”

অস্বাস্থ্যকর মাথা এক ধরনের ত্বকের সমস্যা যা চুলের সাথে জড়িত।

“অস্বাস্থ্যকর মাথার ত্বকের কারণে চুল পড়া, আগা ফাটা, খুশকি, লালচেভাব, ব্যথা, ব্রণ, সিস্ট এবং চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয়”- রিয়েলসিম্পল ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মন্তব্য করেন আইশ।

অস্বাস্থ্যকর মাথার ত্বকে নানান সমস্যা দেখা দেয়।

নিউ ইয়র্ক’য়ের ‘পেনি জেমস স্যালন’য়ের বোর্ড নিবন্ধিত ট্রিকোলজিস্ট (মাথার ত্বক ও চুল বিশেষজ্ঞ) এবং প্রতিষ্ঠাতা পেনি জেমস একই প্রতিবেদনে বলেন, “অস্বাস্থ্যকর মাথার ত্বকের পেছনে রয়েছে নানান রকম বিষয়।”

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, বংশগতি, মানসিক চাপ এবং ওষুধের পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়গুলো চুল ও মাথার ত্বকের ওপর প্রভাব রাখে।

সুস্থ মাথার ত্বক পাওয়ার উপায়

অসুস্থ মাথার ত্বক সুস্থ রাখতে জেমস, কয়েকটি কৌশলের কথা জানান।

নিয়মিত চুল পরিষ্কার করা সুস্থ মাথার ত্বক পাওয়ার অন্যতম উপায়। এছাড়াও মাথার ত্বকের ট্রিটমেন্ট নেওয়া, পরিমিত তাপীয় স্টাইলিং যন্ত্র ব্যবহার এবং এসপিএফ ব্যবহারের মাধ্যমে মাথার ত্বক সুস্থ রাখার যায়।

তিনি বলেন, “আমি আমার রোগীদেরকে রোদে যাওয়ার আগে মাথার ত্বকে এসপিএফ স্প্রে করার পরামর্শ দিই।”

সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি মাথার ত্বকে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে এবং তালুতে চুল পড়ে যাওয়ার বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। খুব বেশি রোদে পুড়লে তা থেকে স্কিন ক্যান্সারের মতো ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেয়।

জেমস এবং আইশ- দুজনেই রাসায়নিক উপাদান সমৃদ্ধ চুলের প্রসাধনী ব্যবহার এড়ানোর পরামর্শ দেন।

আইশ বলেন, “আমরা রোগীদেরকে সালফেট, পেরাবেন, অ্যালকোহল মুক্ত প্রসাধনী ব্যবহারের পরামর্শ দেই। এগুলো মাথার ত্বকের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে।”

স্বাভাবিকভাবেই মৃদু ফর্মুলার উপাদান ব্যবহার, তাপীয় স্টাইলিং যন্ত্র ব্যবহার এড়িয়ে চলা এবং যতটা সম্ভব মাথার ত্বকের স্বভাবিক পরিচর্যা যেমন- এক্সফলিয়েশন করা, এসপিএফ ব্যবহার ইত্যাদি চুলের হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিতে সহায়তা করে। মাথার ত্বক মালিশ করার রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

যদি মাথার ত্বকের খুব বেশি সমস্যা দেখা দেয় তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রিইকোলজিস্ট অথবা ত্বক বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

আরও পড়ুন

Also Read: শুষ্ক মাথার ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষার উপায়

Also Read: তৈলাক্ত মাথার ত্বক ভালো রাখার পন্থা

Also Read: শুষ্ক ও রুক্ষ মাথার ত্বকের জন্য ‘স্ক্যাল্প অয়েল’