সম্পর্কে নিরাপত্তা রক্ষার কৌশল

নিরাপদ সম্পর্ক গড়ে তুলতে কিছু বিষয় অনুশীলন করতেই হয়।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2023, 11:56 AM
Updated : 6 June 2023, 11:56 AM

সুস্পষ্ট সীমারেখা নির্ধারণ ও মেনে চলা সুস্থ সম্পর্কের অংশ।

স্বাস্থ্যকর সম্পর্কে একে অপরের প্রতি বিশ্বাস, খোলামেলাভাবে কঠিন বিষয়ে আলাপ করা, স্পষ্ট ভাষায় কথা বলা ও প্রত্যাশার কথা খুলে বলা এবং যাই হোক না কেনো একে অপরের পাশে দাঁড়ানো জরুরি।

সুসম্পর্ক বজায় রাখতে দক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করতে হয়।

এই বিষয়ে হিন্দুস্থানটাইমস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় থেরাপিস্ট সাদাফ সিদ্দিকি বলেন, “ওপরের সবগুলো বিষয়য়ে সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ সচেতন হন বা না হন, এটা অন্যদের সাথে কীভাবে সংযোগ স্থাপন করা হয় তার ওপরে প্রভাব রাখে।”

যে সকল বিষয় অনুশীলন করতে হবে

দ্বন্দ্ব আসলে স্বাস্থ্যকর। এটা আমাদের একে অপরের দৃষ্টিকোণ এবং মতামত বুঝতে সাহায্য করে। আমাদের প্রত্যেকেরই দ্বন্দ্ব নিয়ন্ত্রণ করে সংঘাত এড়িয়ে চলার উপায় জানতে হবে।

কোনো সংঘাত বা দ্বন্দ্ব দেখা দিলে একসাথে বসে এর সাধারণ ভিত্তি ও সমাধান খুঁজে বের করতে হয়।

নিজের ও সঙ্গীর দায়বদ্ধতা

নিজেদের করা ভুলের জন্য নিজেদেরকেই দায়বদ্ধ রেখে ক্ষমা চাইতে হবে। সঙ্গীকে দায়বদ্ধ রাখা মানে হল তার ভুলকে এড়িয়ে না যাওয়া এবং তার সাথে স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক ও যোগাযোগ বজায় রাখা। 

একা থাকতে স্বাছন্দ্যবোধ করা

একটা স্বাস্থ্যকর সম্পর্কে সঙ্গীর বাইরেও জীবন থাকা উচিত। স্বাস্থ্যকর পারস্পারিক নির্ভরশীলতা বজায় রাখা যেমন নিজেদের মাঝে স্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে তেমনি একে অপরের ওপরে অস্বাস্থ্যকর নির্ভরতা কমায়।

সম্মান প্রদর্শন

নিজের এবং সঙ্গীর চাহিদা ও প্রত্যাশার প্রতি সবসময় সম্মান প্রদর্শন করা জুরুরি।

আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা

আমরা আমাদের সকল প্রতিক্রিয়াগুলোর জন্য দায়ী এবং সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে শিখতে হবে যেন সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে।

আরও পড়ুন

Also Read: এই সময়ে যুগলরা যে সমস্যায় ভুগছে

Also Read: দাম্পত্যের প্রধান পাঁচ ধরন

Also Read: সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কারণ