এই সময়ে যুগলরা যে সমস্যায় ভুগছে

সময়টাই অস্থির। আর দম্পতি বা যুগলরা আরও অস্থির হচ্ছেন যোগাযোগ কম হওয়ার কারণে।

লাইফস্টাইল ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2022, 12:53 PM
Updated : 22 March 2022, 12:53 PM

অথচ ইন্টারনেট আর মোবাইল ফোনের যুগে যোগাযোগটাই বেশি হওয়ার কথা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সম্পর্ক গড়ায় সহায়ক অ্যাপ ‘কাপলি’ মোট এক হাজার যুগলকে নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা চালায়।

যুগল-সম্পর্কের মধ্যে তারা সবচাইতে বড় কোন ধরনের বাধার মুখোমুখি হয়েছেন সেটাই এই দম্পতিদের প্রশ্ন করা হয়। আর দেওয়া হয় অনেকগুলো সমাধানের উপায়ও।

এই জরিপে উঠে আসা ফলাফল থেকে ওয়েলঅ্যান্ডগুড ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, দাম্পত্য জীবনের সমস্যাগুলোর শীর্ষ ১০ সমস্যাই পারস্পারিক যোগাযোগ, একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময়ের অভাব আর মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যার সঙ্গে জড়িত।

একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের সমস্যা

কথা বলার ধরন বা আলাপ শুরু করার ধরন মানুষভেদে ভিন্ন। আর সেখানে মতবিরোধ আসাটাই স্বাভাবিক। পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে দরকার দুই পক্ষের ধৈর্য্য এবং সম্মান করা।

‘কাপলি’য়ের সঙ্গে কাজ করা সম্পর্ক-বিষয়ক থেরাপিস্ট দিয়ানা সাহাদি ওই প্রতিবেদনে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, “দম্পতিদের একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যকার সমস্যাটা বেশ প্রকট। এই সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার প্রধান কারণ তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ না করা এবং কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অপরপক্ষের সুবিধা অসুবিধার কথা চিন্তা না করা।”

সমস্যা সমাধানের উপায় হিসেবে সাহাদি বলেন, “সততা এবং নিজে সচেতন হওয়াই এই সমস্যা সমাধানের চাবিকাঠি। এই দুই বৈশিষ্ট্য যে কোনো মতবিরোধের সময় আপনাকে শান্ত মাথায় মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।”

“চট করে রেগে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাবে। একইভাবে সঙ্গীকেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ দিতে হবে। নিজেরা এই সমস্যা সমাধান করতে না পারলে পেশাজীবী ‘থেরাপিস্ট’য়ের সাহায্য নিতে পারেন।”

নিজেদের সময় না দেওয়া

“দুজন পাশাপাশি বসে থাকা মানেই কিন্তু একসঙ্গে সময় কাটানো নয়”, বলেন সাহাদি।

তার কথায়, “পরস্পরের সঙ্গে ভালো একটা সময় কাটানো দুটি পূর্বশর্ত আছে। একে অপরের প্রতি মনযোগ এবং আগ্রহ। সপ্তাহের একটি দিন কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করা। আর ঘনিষ্ট এবং ভালো সময় কাটানোর জন্য আসলেই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা একটি ভালো পদ্ধতি।”

একে অপরের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানুন, আলোচনাকে সক্রিয় রাখুন। জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিটি মানুষই এখন প্রচণ্ড ব্যস্ত। ব্যস্ততার জন্য নিজেরা সময় কাটাতে না পারলে তা সঙ্গীকে আগেই জানান এবং পরে অন্যসময় সেই পরিকল্পনা বাস্তব করুন।

মানসিক স্বাস্থ্য

মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপি অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত দিন পার করছেন। তবে এই ব্যাপারগুলো সঙ্গীর কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা মোটেই উচিত হবে না।

হতাশা, মানসিক অস্বস্তি, দুশ্চিন্তাগুলো সঙ্গীর সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে হবে। আর মানসিক দূরাবস্থার প্রভাব যেন সম্পর্কে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সবসময়।

অন্য বিষয়ের হতাশার মাশুল যেন সঙ্গী গুনতে না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে।

আরও পড়ুন