রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর মতো উপকরণ রয়েছে।
Published : 02 Oct 2024, 04:46 PM
মিষ্টি কুমড়া সহজলভ্য, দামে কম আর পুষ্টিগুণে ভরপুর।
আমাদের দেশে মিষ্টি কুমড়ার তরকারি রান্না হয় বেশি। তবে অনেক দেশে মিষ্টি কুমড়া দিয়ে সুপ, সালাদ, পিঠাসহ নানানভাবে খাওয়া হয়।
কুমড়ার পুষ্টিগুণ
“চিন্তারও অধিক পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সবজি”- রিয়েলসিম্পল ডকটম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এভাবেই মন্তব্য করেন মার্কিন পুষ্টিবিদ ম্যাগি মহালজেক।
শিকাগো ভিত্তিক এই পুষ্টিবিশেষজ্ঞ জানান, এক কাপ পরিমাণ মিষ্টি কুমড়াতে থাকে ৫০ ক্যালরি। এছাড়াও মিলবে ভিটামিন ই, সি এবং এ। সেই সাথে রয়েছে পটাসিয়াম ও আঁশ।
এককাপ পরিমাণ মিষ্টি কুমড়ার পুষ্টিমান হল-
পানি ৯১.৬ গ্রাম
শক্তি ২৬ কিলোক্যালোরি
প্রোটিন ১ গ্রাম
চর্বি ০.১ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেইটস ৬.৫ গ্রাম
আঁশ ০.৫ গ্রাম
চিনি ২.৭৬ গ্রাম
ক্যালসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম
লৌহ ০.৮ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ১২ মিলিগ্রাম
ফসফরাস ৪৪ মিলিগ্রাম
পটাসিয়াম ৩৪০ মিলিগ্রাম
সোডিয়াম ১ মিলিগ্রাম
জিঙ্ক ০.৩২ মিলিগ্রাম
কপার ০.১২৭ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ এবং কে
স্বাস্থ্যোপকারিতা
নানানভাবে রান্না করে খাওয়া যায় মিষ্টি কুমড়া। আর যেভাবেই রান্না করা হোক না কেনো, মিলবে নানান উপকারিতা।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: বেটা-ক্যারোটিন’য়ের জন্য মিষ্টি কুমড়ার রং কমলা হয়। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে আলফা-ক্যারোটিন এবং বেটা-ক্রিপ্টোক্সানথিন। এগুলো ‘ফ্রি র্যাডিকেল’ অপসারণ করে। আর ক্যান্সারের বিরূদ্ধে কাজ করতে শরীরকে প্রস্তুত করে রাখে।
রোগ প্রতিরোধ: আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের সময় ঠাণ্ডা-জ্বর এবং ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। মিষ্টি কুমড়াতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর বেটা-ক্যারোটিন শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ’তে রূপান্তিরত হয়, যা শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
চোখের স্বাস্থ্য: ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন। আর মিষ্টি কুমড়ায় কীভাবে ভিটামিন এ মিলবে সেটা ওপরেই উল্লেখ করা আছে। এছাড়াও মিলবে লুটেইন এবং জিয়াক্সানথিন- এই দুই ক্যারোটিনয়েডস চোখের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
হৃদ-স্বাস্থ্য: আঁশ, পটাসিময়াম ভিটামিন সি ছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার নানান পুষ্টি উপাদান হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল প্রতিরোধ করতে পারে। ফলে হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
উজ্জ্বল ত্বক: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে বেটা-ক্যারোটিন ‘সানব্লক’ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের গঠন উন্নত করে। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়, যা ত্বকের টানটানভাব বজায় রাখে।
প্রোটিন: কুমড়ার সাথে থাকা দানা প্রোটিনের উৎকৃষ্ট উৎস। তাই ফেলে না দেওয়ার পরামর্শ দেন ‘ওয়ান্স আপন এ পামকিন’ বইয়ের লেখক ম্যাগি মহালজেক।
এছাড়াও মিলবে লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম, আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি।
আরও পড়ুন
মিষ্টি কুমড়ার মুখরোচক ‘নবব্যঞ্জন’
কুমড়ার বীজ খাওয়ার স্বাস্থ্যকর উপায়
চিংড়ি দিয়ে মিষ্টি কুমড়ার তরকারি