হারানো হিয়া

দিদার কোলের ওপর একটি খোলা ডায়রি। পাতার ফাঁক থেকে উঁকি দিচ্ছে একটি সাদাকালো ছবি। অধরা ছবিটা হাতে তুলে নেয়।

সঙ্গীতা ইমামসঙ্গীতা ইমাম
Published : 15 May 2023, 04:04 AM
Updated : 15 May 2023, 04:04 AM

পাঁচ

সেদিন বিকেলের পর হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলো। চারপাশ অন্ধকার হয়ে এসেছে। জোর বাতাস বইছে চারদিকে। মা তখনও নিজের রুমে বসে অফিস করছেন। একবার দরজাটা খুলে বারান্দার স্লাইড ডোর আর ঘরের জানালাগুলো বন্ধ করে অধরাকে বললেন, দেখো দিদার ঘরের জানালা বন্ধ কিনা!

অধরা দৌড়ে দিদার ঘরে ঢুকলো। শুধু জানালাই বন্ধ নয়, ঘরের পর্দাগুলো টানা। বাইরের অন্ধকার দিদার ঘরে ঢুকে যেন আরও অন্ধকার হয়ে গেছে। দিদার আলমারিটা খোলা। আলমারির সবচেয়ে নিচের তাকে দিদার একটি পুরোনো ট্রাঙ্ক আছে। দিদার সব পুরোনো জিনিস আছে এই ট্রাঙ্কে। কিছু পুরোনো অ্যালবাম। এমনকি অধরার প্রথম জামাটাও দিদা যত্ন করে রেখে দিয়েছেন এখানে।

খাটের পাশের ফরাসে ট্রাঙ্কটা খুলে বসে আছেন দিদা। পুরোনো অ্যালবামের অনেকগুলো ছবি আর দিদার কয়েকটি ডায়রি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মেঝেতে। অধরা দিদার পাশে বসে টেবিল ল্যাম্পটা জ্বালালো। জমাট অন্ধকার মেঝেতে যেন একতাড়া আলো ছড়িয়ে পড়ল। কিন্তু দিদা যেন কিছুই খেয়াল করেননি। তিনি যেন এ ঘরে থেকেও নেই। তার দু'চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। কিন্তু কান্নার কোনো ভঙ্গি নেই মুখে।

দিদার কোলের ওপর একটি খোলা ডায়রি। ফ্যানের বাতাসে ডায়রির পাতাগুলো সামান্য উড়ছে। পাতার ফাঁক থেকে উঁকি দিচ্ছে একটি সাদাকালো ছবি। অধরা ছবিটা হাতে তুলে নেয়।

খুব খেয়াল করে ছবিটি দেখে অধরা। হ্যাঁ...দিদাই তো! তার কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে ন-দশ বছরের একটি মেয়ে। দিদার বয়স তখন অধরার মায়ের মতো। আর পাশের মেয়েটি যেন হুবহু তার মতোই দেখতে। কিন্তু অধরা ভাবে, ছবির মেয়েটি যদি সে হয়, তবে দিদার বয়স এত কম হয় কী করে! কিচ্ছু ভেবে পায় না অধরা। দিদার স্তব্ধ চেহারার দিকে তাকিয়ে কিছু জিজ্ঞেস করতেও ভয় হয় তার।

চুপচাপ কেটে যায় অনেকটা সময়। দিদার চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। অবিরল। একটানা। একসময় অধরার আর সহ্য হয় না। সে দিদাকে বুকে জড়িয়ে ধরে। ছোট্ট শিশুর মতো অধরাকে জড়িয়ে ধরে ডুকরে কেঁদে ওঠেন দিদা।

তিনি হারমোনিয়াম খুলে তার গানের আসনে বসেছেন আজ। হারমোনিয়ামের রিডে নিশ্চল হাত, বন্ধু দু'চোখে অশ্রুধারা; দিদা গাইছেন— ‘ক্ষমা করো মোরে সখী, শুধায়ো না আর/ মরমে লুকানো থাক মরমের ভার...।’

সে রাতে দিদার খাওয়া-দাওয়া কিছুই হলো না। মায়ের অফিসে কোনো বড়ো কাজ হচ্ছে। মা-ও সেটা নিয়ে রাত জেগে কাজ করবেন। অধরা চুপচাপ গিয়ে শুয়ে পড়ে দিদার পাশে। দিদার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ে সে।

সকালে ঘুম ভেঙে নিজেকে দিদার বিছানায় দেখে অবাক হলেও সঙ্গে সঙ্গে মনে পড়ে যায় গতরাতে দেখা সেই ছবিটির কথা। দিদা বিছানায় নেই। নিশ্চিয়ই বারান্দার বাগানে জল দিচ্ছেন। এই সময়টায় দিদাকে একেবারেই অন্যরকম লাগে। ভোরে স্নান সেরে পাটভাঙা ধবধবে সাদা শাড়ি পরে খোলা চুলে বারান্দার রেলিংয়ে বাঁধা পাত্রে পাখিদের জন্য খাবার আর জল রাখেন। তারপর আঁজলা ভরে জল ছিটিয়ে গাছগুলোকে স্নান করান পরম যত্নে। গাছগুলোও যেন এ আদরের স্পর্শে খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে।

তারপর বারান্দায় পাতা ইজি চেয়ারে বসে দিদা খবরের কাগজ পড়েন। মাঝে মাঝে দিদা অধরাকে খবরের কাগজ থেকে কিছু অংশ পড়তে দেন। অধরা পড়ে আর দিদা বাংলা ও ইংরেজি শব্দের উচ্চারণ ঠিক করে দেন। কোন বিরাম চিহ্নের কী মানে; লেখার মাঝে কখন-কোথায়-কেনো থামতে হয়— সেটা বলে দেন। এসময় দিদার ঘরের রেকর্ড প্লেয়ারে গান বাজে। দিদা খুব যত্ন করে রাগের ভিত্তিতে গান আলাদা করে রেকর্ড করিয়েছেন। মাঝে মাঝে অধরাকে তিনি বুঝিয়ে দেন, কোনটা কোন রাগের গান— কোনটা ভৈরবী, কোনটা দীপক।  

কিন্তু আজকের সকালটা অন্যদিনের মতো নয়। পাখিরা প্রাতঃরাশে মেতেছে ঠিকই, গাছেরাও সদ্যস্নাত; কিন্তু দিদা নেই তার আরামকেদারায়। তিনি হারমোনিয়াম খুলে তার গানের আসনে বসেছেন আজ। হারমোনিয়ামের রিডে নিশ্চল হাত, বন্ধু দু'চোখে অশ্রুধারা; দিদা গাইছেন— ‘ক্ষমা করো মোরে সখী, শুধায়ো না আর/ মরমে লুকানো থাক মরমের ভার...।’ গান শেষ হবার পরও দিদা ধ্যানস্থ হয়ে থাকলেন বহুক্ষণ। ধীরে ধীরে গানের আসন ছেড়ে উঠে বারান্দার আরামকেদারায় গিয়ে বসলেন।

চারপাশ ততক্ষণে জেগে উঠেছে। রোদের তেজও বাড়ছে। গতরাতের ঝড়-বাদলের চিহ্ন পড়ে আছে রাস্তার ধারে জমে থাকা পানিতে। কিছুক্ষণ পর দিদা নিজের ঘরে এলেন। ট্রাঙ্ক থেকে বের করলেন সেই পুরোনো অ্যালবাম আর ডায়রি। অধরা দিদার পাশে গা ঘেঁষে বসলো। দিদা কয়েকটি ছবি অ্যালবাম থেকে  বের করে বিছানায় সাজিয়ে রাখছেন। সবগুলোই দিদি আর অধরার মতো দেখতে সেই মেয়েটার ছবি। সাথে কোনোটাতে দাদু আছেন, কোনোটাতে দাদু, দিদা দুজনেই আছেন। আবার দুয়েকটি ছবিতে দাদু-দিদা আর সেই মেয়েটির সঙ্গে দু'আড়াই বছরের একটি ছেলে।

অধরা তার কৌতূহল ধরে রাখতে পারছে না। দিদাকে সে জিজ্ঞেস করেই ফেলল, ছোট্ট ছেলেটা কে বাবা?

দিদা কেবল মাথা নাড়লেন।

তাহলে ওই মেয়েটা কে?

হঠাৎ যেনো সম্বিৎ ফিরে পেলেন দিদা। চারপাশটা একবার দেখে নিয়ে তিনি ছবিগুলো গুছিয়ে রেখে দিলেন আঁচলের তলায়। দিদাকে এমন আচরণ করতে কোনোদিন দেখেনি অধরা। তাই তারও বিস্ময় কাটছে না। দিদা কি ছবিগুলো লুকোতে চাইছেন? কেনো?

অধরা খানিকটা ভয় পেয়ে গেল। কেন যেন তার ভয় লাগল হঠাৎ করে। সে দিদাকে জড়িয়ে ধরল। দিদা নীরবে কাঁদতে লাগলেন। দিদার চোখের জল অধরার গাল চুল ভিজিয়ে দিচ্ছে। এভাবে কতক্ষণ যে দিদা অধরাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন, সেটা দুজনের কারও মনে নেই। কিন্তু অধরারও কান্না পাচ্ছে। সে জানে না সে কেন কাঁদছে, কিন্তু তার কান্না যেন বাধ মানছে না।

'শরণার্থী' শব্দের অর্থ জানো? কী অমানবিক কষ্ট মানুষকে করতে হয়েছে একাত্তর সালে, সেটা জানো? কত হারানোর বেদনা নিয়ে মৃত্যুভয়ে মানুষ শরণার্থী হয়েছিল তখন, জানো তার কিছু?

 ছয়

এ নিয়ে দিদার সঙ্গে অধরার আর কোনো কথা হয়নি। দিদাও সেই ছবিগুলো ট্রাঙ্ক থেকে আর খুলে দেখেননি, অন্তত অধরার চোখে পড়েনি। কিন্তু সেদিনের পর থেকে না অধরা স্বাভাবিক হতে পারছে, না তার দিদা। দিন কাটছে, প্রতিদিনের সব কাজ চলছে ঠিকঠাক; কিন্তু কোথায় গিয়ে যেন সুরটা ঠিক মিলছে না।

সেদিন বিকেলে টিভিতে স্কুল খোলার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছিল। অধরা খুব মন দিয়ে শুনছে শিক্ষামন্ত্রীর কথা। সেও অধীর আগ্রহে বসে আছে— কবে স্কুল খুলবে? কবে দেখা হবে বন্ধুদের সঙ্গে? আবার কবে খেলবে স্কুল মাঠে? কতদিন ক্লাশে বসে ক্লাশ করা হয় না। শিক্ষকদের কথা শোনা হয় না সামনে বসে।

সংবাদটা শেষ হতেই দিদা ডাকলেন অধরাকে— চলো, অনেকদিন রেওয়াজ করা হচ্ছে না।

অধরার মনটা খুশিতে ভরে উঠল। সে এক দৌড়ে গিয়ে বসল দিদার আসনের সামনে। কী সুন্দর লাগছে দিদাকে!  অধরা মুগ্ধ হয়ে বলল, ওই গানটা শেখাও না দিদা...

কোন গানটা?

সেদিন যে গাইছিলে...ক্ষমা করো মোরে সখী...

এটা বেশ শক্ত রাগের গান...আরেকটু বড়ো হলে শিখিয়ে দেবো।

অধরা হঠাৎ করে প্রসঙ্গ বদলালো— ওই মেয়েটা কে দিদা? কার ছবি ওটা?

দিদা যেন খানিকটা কেঁপে উঠলেন। চুপ করে তাকিয়ে রইলেন কোলে পাতা বীণার দিকে। আনমনে তার হাতের আঙুলগুলো মৃদু নড়ছে। তাতে কেমন একটা এলোমেলো সুর বেজে উঠছে।

অধরার তর সইছে না। সে আবারও জিজ্ঞেস করলো, কে ওই মেয়েটা? বলবে না দিদা?

হঠাৎ দিদা মাথা তুলে তাকালেন অধরার দিকে। অধরা যেন কেমন ভয় পেয়ে গেল। দিদার চোখ দুটো থেকে মনে হয় আগুন বেরুচ্ছে।

'শরণার্থী' শব্দের অর্থ জানো? কী অমানবিক কষ্ট মানুষকে করতে হয়েছে একাত্তর সালে, সেটা জানো? কত হারানোর বেদনা নিয়ে মৃত্যুভয়ে মানুষ শরণার্থী হয়েছিল তখন, জানো তার কিছু?

দিদাকে কেমন ঘোরলাগা মানুষের মতো লাগছিল অধরার। এ যেন তার চিরচেনা সেই মিষ্টি দিদা নন।

দিদা কোনো প্রশ্নের উত্তর চাইছেন না। তিনি জানালার দিকে তাকিয়ে দেখছেন বাইরে শেষ বিকেলের মরা রোদ। খানিকটা সময় নিয়ে তিনি আবারও বলতে শুরু করলেন, কিন্তু এবার তার কণ্ঠ আর আগের মতো নেই। খানিকটা খাদে নেমে এসেছে যেন।

জহির রায়হানের ‘স্টপ জেনোসাইড’ দেখে তুমি কেঁদেছিলে, মনে আছে অধরা? কী ভয়ই না পেয়েছিলে তুমি। সিনেমাটা দেখতে গিয়ে এত বছর পর তোমার কষ্ট হয়েছে আর যারা সেই কষ্টের ভেতর দিয়ে ন'মাস পার করেছিলেন, তাদের অবস্থাটা একবার কল্পনা করতে পারবে?

অধরার মনে আছে সেই দিনটির কথা যেদিন সে দিদা-বাবা আর মায়ের সঙ্গে বসে ‘স্টপ জেনোসাইড’ দেখেছিল। মা তো কিছুক্ষণ পরই উঠে চলে গিয়েছিলেন। মা সবসময় বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতা সিনেমাতেও একটানা বসে দেখা সম্ভব হয় না। কিন্তু বাবা অধরা আর দিদা বসে পুরো ডকুমেন্টারিটা দেখেছিল। অধরার শুধু মনে আছে ছবিগুলোর কথা। আজও ভাবলে তার গায়ে কাঁটা দেয়।

দিদার দীর্ঘশ্বাসের শব্দ শুনে তার দিকে ফিরে তাকালো অধরা। দিদা স্থির চোখে তাকিয়ে আছেন অধরার দিকে। গানের আসন ছেড়ে তিনি অধরার হাত ধরে নিয়ে এলেন নিজের ঘরে। আলমারি খুলে ট্রাঙ্কটি বের করলেন। ডায়রির পাতায় থাকা পুরোনো সেই ছবিটা দেখিয়ে বললেন, জানতে চেয়েছিলে না এটা কার ছবি? নারীটা আমি, কোলের বাচ্চাটা তোমার বাবা, আর... আর...

দিদার চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল। কান্নার তোড়ে ধরে এসেছে গলা। জড়ানো কণ্ঠস্বরে দিদা বললেন, পাশের মেয়েটি আমার মেয়ে, তোমার বাবার দিদি...

দিদার বাক্যটা শেষ হলো না, তার আগেই অধরার মুখ থেকে বেরিয়ে এলো প্রশ্নটি, আমার ফুমণি? তাহলে তিনি কোথায়? কখনো বলোনি তো তার কথা!

অধরার এই প্রশ্নটাই যেনো দিদাকে ফিরিয়ে আনে বাস্তবে। সম্বিৎ ফিরে পান তিনি। নিজেকে সামান্য গুটিয়ে নেন। সন্তর্পনে চারপাশটা দেখে ছবিসহ ডায়রিটা রেখে দেন ট্রাঙ্কে। আলমারি তালাবন্ধ করে দিদা চলে গেলেন ওয়াশরুমে। বেশ কিছুক্ষণ পর ওয়াশরুম থেকে বের হলেন দিদা। মুখ-হাত ধুয়ে ঘাড়ে-মাথায় পানি দিয়ে একটা ঝরঝরে ভাব আনার চেষ্টা করলেও লাল চোখে কান্নার চিহ্ন লুকাতে পারেননি দিদা।

 অধরা এখনও একইভাবে বসে আছে দিদার খাটে। দিদা চলে গেলেন রান্নাঘরে। অধরা তার পেছন পেছন রান্নাঘরে ঢুকে দেখে মা রাতের খাবার তৈরি করছেন। দিদাকে দেখে মা নিষ্পলক তাকিয়ে রইলেন। দিদাও কেমন থ হয়ে গেলেন মাকে দেখে। তিনি যেনো মাকে এই মুহূর্তে আশাই করেননি। দিদা যেনো প্রায় আঁতকে উঠলেন।

কিন্তু বেশিক্ষণ নয়, দুজনেই দুজনকে সামলে নিলেন। অধরার মা রুশমিলা হাত চালিয়ে ওভেনে খাবার গরম করতে লাগলেন। কিন্তু দিদা খাবার নিলেন না। বরং অসময়ে চা ঢেলে নিয়ে চলে গেলেন নিজের ঘরে। মা অধরার প্লেটটা তার হাতে দিয়ে নিজেরটা নিয়ে চলে গেলেন ঘরে। কাজ থাকলে মা মাঝে মাঝে নিজের ঘরে রাতের খাবার খান; কিন্তু আজ মায়ের দরজা বন্ধ করার শব্দটা যেনো একটু জোরেই কানে এসে লাগলো। খানিকটা অস্বাভাবিকও লাগলো। অন্যদিন টেবিল সাজিয়ে মা ডাকেন সবাইকে। কিন্তু আজ আর তেমন হলো না।

রান্নাঘর থেকে দিদার খাবার প্লেটটা টেবিলে এনে রাখলো অধরা। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে দিদাকে ডাকলো রাতের খাবারের জন্য। ফ্রিজ থেকে দিদার ইনস্যুলিনটা বের করে আরও খানিকক্ষণ অপেক্ষা করে দিদার ঘরে গিয়ে তাকে নিয়ে এলো খাবার টেবিলে। দুজনে নিঃশব্দে বসে আছে টেবিলের দু'প্রান্তে। খুবই অন্যমনস্ক দুজন অসমবয়সী মানুষ নিজ নিজ চিন্তায় মগ্ন থেকে একটি আড়াল রেখে নীরবতার পর্দা টেনে দিলেন।

চলবে...

আগের পর্ব

হারানো হিয়া, প্রথম কিস্তি

হারানো হিয়া, দ্বিতীয় কিস্তি