তোমার নামের অর্থ কী?

কোনো কিছুর নাম যে শুধু একটা চিহ্নিতকারী শব্দ তা কিন্তু নয়। নাম একজন মানুষের পরিচয়, তার অবস্থা সব বুঝায়। ও বাবা বেশ কঠিন কথা হয়ে গেলো! তবে ভেবে দেখো একটা জায়গার নাম কলাবাগান। সেখানে বাগান দূরে থাক একটা কলাও চোখে পড়ে না। তাহলে একবার কি আমাদের মনে আসবে না, এই নামটা কোথা থেকে এলো?

মাকসুদা আজীজবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2017, 10:51 PM
Updated : 4 March 2017, 10:51 PM

নামের অর্থের সার্থকতা খোজা যে শুধু কোনো জায়গার জন্য সত্য তা না, মানুষের জন্যেও নামের অর্থ একটা ব্যাপক ভূমিকা রাখে। যেমন এক ছেলের নাম শান্ত, সে বেজায় দুষ্ট। কী লাভ আর তাকে শান্ত ডেকে বলো? আবার নামের সাথে তো পদবীও জোড়া থাকে। এই পদবী ধরে পারিবারিক ইতিহাস, গল্প কত কিই না জানা যায়।

জেরি হিল নামে একজন আমেরিকান ভাবলেন, আচ্ছা তাহলে এমন একটা দিন ঠিক করলে কেমন হয়, যেদিন মানুষ শুধু তাদের নামের অর্থ নিয়ে ভাববে? এটা নিয়ে অনেক ভাবনা চিন্তা, অনেকের সাথে আলোচনার পরে উনি মোটামুটি অনেককে তার কথাটা বুঝাতে পারলেন। এরপর ১৯৯৭ সালে সারা পৃথিবীতে না হলেও আমেরিকায় এমন একটা দিন ঠিক করতে সক্ষম হলেন যেদিন সবাই শুধু তাদের নিজেদের নামের অর্থ সম্পর্ক জানবে।

একজন মানুষের নাম থেকে সে মানুষটির পরিবার, দেশ, সংস্কৃতি এমন অনেক কিছু জানা যায়। পৃথিবীর সিংহভাগ মানুষের নামের পেছনে তাদের বাবার নাম থাকে। এভাবে বাবার দিক থেকে মানুষের বংশগতি হিসাব করা হয়। আবার পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছেন যারা নিত্য নতুন জিনিসের সাথে মিলিয়ে নাম রাখেন। কোনো দেশের মানুষের নামের সাথে তাদের এলাকার নামও যুক্ত থাকে। আমাদের দেশে বাবা মা যখন নাম রাখেন তখন চেষ্টা করেন এমন কোনো সুন্দর গুণের কথা উল্লেখ করতে যেটা তারা সন্তানের মধ্যে পেতে চান।

কোনো দেশের মানুষের নামের ধারা অনুসরণ করলে দেশ এবং সে দেশের মানুষের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে প্রায় শতভাগ ধারণা পেয়ে যাওয়া যায়। তাহলে বুঝতেই পারছো নাম শুধু কাউকে চিহ্নিত করার জন্য নয়। নিজেকে জানার জন্যেও এটা একটি অপরিহার্য বিষয়।

নামের অর্থ জানার দিনটি যদি আমেরিকাতেই এখনও সীমাবদ্ধ আছে তবে আমাদের এই দিন সম্পর্কে জানতে পারি। আবার দিনের তাৎপর্য অনুধাবন করে নিজেদের নামের অর্থ সম্পর্কেও জানতে পারি। বন্ধুদের নাম সম্পর্কেও জানা যায়। মাঝে মাঝে একই ধরণের শব্দ ভিন্ন ভাষায় ভিন্ন অর্থ হয়। ইন্টারনেট ঘেঁটে সেই অর্থগুলোও খুঁজে দেখা যায়। আবার হাইয়েরোগ্লিফিক বা মোর্স কোডের মতো প্রতীকী ভাষায় আমাদের নাম দেখতে কেমন দেখায় সেটা খুঁজে বের করাও কম মজার হবে না।

হাইরোগ্লিফিকে নিজের নাম লিখতে এই ওয়েবসাইটে যেতে পারো—https://discoveringegypt.com/egyptian-hieroglyphic-writing/hieroglyphic-typewriter/