Published : 28 Apr 2025, 08:07 PM
আমি ঘুরতে খুবই পছন্দ করি। বিশেষ করে ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরতে আমার বেশি ভালো লাগে। কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে অবস্থিত শিল্পাচার্য জয়নুল লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর ও পানাম নগরে ঘুরে আসার সুযোগ হয়। এই স্থান দুটি ঘুরে আমার একটি সুন্দর অভিজ্ঞতা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে আপুর বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে শুনি সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর ও পানাম নগর এখান থেকে খুব বেশি দূরে নয়। এছাড়া স্থান দুটিও বেশ কাছাকাছি। তখন ঠিক করলাম দুটো জায়গা থেকেই ঘুরে আসব।
দিনটি ছিল ২৯ নভেম্বর ২০২৪। সকাল ৯টার মধ্যে আমরা গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ি। সঙ্গে ছিলেন আমার এক চাচা। দুজনেরই প্রথমবারের মত সেখানে যাওয়া। তাই রাস্তাঘাট সম্পর্কে ভালো ধারণা ছিল না। গুগল ম্যাপই ছিল আমাদের একমাত্র ভরসা।
রাস্তায় কিছুটা যানজট ছিল। তা সত্ত্বেও আমরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লোকশিল্প জাদুঘরে পৌঁছে যাই। ভেতরে ঢুকতেই যেন ইতিহাসের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ হয়ে গেল।
নকশিকাঁথা, কাঠের খড়ম, মাটির তৈরি প্রাচীন পাত্র,পালঙ্ক,পুতুলসহ নানা ধরনের ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই আমি। এসব জিনিস আগে শুধু বই বা প্রামাণ্যচিত্রে দেখেছিলাম। এখন দেখছি চোখের সামনে। এই অনুভূতি ছিল একবারে অন্যরকম।
এরপর আমরা কারুপল্লীর দিকে এগিয়ে গেলাম। সেখানে ছোট ছোট দোকানে মৃৎশিল্প,কাঠের নানা পণ্য,জামদানি শাড়ি,বাঁশ ও কাঁসার তৈজসপত্র বিক্রি করা হচ্ছিল। প্রতিটি জিনিসেই মাটির গন্ধ আর বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির ছোঁয়া অনুভব করছিলাম।
কারুপল্লীর দিকটা ঘুরে শেষ করে আমরা কিছু খাওয়া দাওয়া করে নিই। কারণ, ততক্ষণে আমরা বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বড় সরদার বাড়ির টিকিট কেটে ঢুকে পড়লাম। সেখানে বিশাল অন্দরমহল,কারুকাজ করা দরজা-জানালা ও উঁচু দালান আমাদের মুগ্ধ করে। এই মুহূর্তগুলোকে ধরে রাখতে কয়েকটি ছবিও তুলি।
তারপর ছিল পানাম নগর দেখার পালা। রিকশায় চড়ে চলে গেলাম পানাম নগর। সেখানে পৌঁছে বইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে লাগলাম ঐতিহাসিক পুরোনো সব ভবন। কিছু কিছু ভবনের গায়ে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ লেখা ছিল। আর প্রতিটি ইটে ছিল পুরোনো সেই দিনগুলোর ছাপ।
প্রতিবেদকের বয়স: ১৭। জেলা: ময়মনসিংহ।