সিলেটে বন্যার ফলে স্কুলে পাঠদান বন্ধ থাকায় পিছিয়ে পড়ার শঙ্কা করছে শিক্ষার্থীরা।
Published : 22 May 2022, 05:42 PM
নগরীর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে দেখা যায় অনেক স্কুলই ডুবে আছে পানিতে।
শহরের শাহপরাণ থানার বটেশ্বরে গিয়ে দেখা যায়, পানিতে ডুবে আছে কানুগুল প্রাথমিক বিদ্যালয়। হরিপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কাপনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হেমু তিনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পুরোপুরি পানিতে ডুবে আছে।
রাব্বী নামের কানুগুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী হ্যালোকে বলে, "পানি ওঠার পরদিন থেকে বন্ধ। স্কুল থেকে জানানোর সুযোগ হয়নি শিক্ষকদের পক্ষে। নানান জনের কাছ থাকি শুনেছি যে বন্ধ।”
আব্দূর রহমান নামে জহিরিয়া এম ইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলছিল, "রাস্তায় পানি উঠে গেছে বলে স্কুলে যেতে পারি না।"
জামি হোসেন সালমান নামে একই প্রতিষ্ঠানের সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলে, "স্কুল খোলা কিন্তু বিদ্যালয়ে যেতে পারছি না বলে পড়া মিস হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে। পড়াটা নিজে নিজে পড়তে গেলে সমস্যা হইব। স্কুলে পড়ানো বিষয় আর পাওয়া যাইত না।”
এসএসসি পরীক্ষার্থী সিগমা আলমগীর গ্রীণি। সে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী।
সে হ্যালোকে বলে, “স্কুলে পরীক্ষা চলছে কিন্তু বন্যার জন্য কয়েক দিন ধরে আমরা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছি। এমন অবস্থায় পড়ালেখায় মনযোগ বসানোও অনেক কঠিন। রাস্তায় প্রায় আমার গলা সমান পানি। এসব পার করে প্রতিদিন পরীক্ষা দিতে যেতে হচ্ছে, পানির জন্য স্কুলের বাসও এদিকে আসতে পারে না।"
হ্যালোর সঙ্গে কথা হয় কানুগুল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে। তিনি বলেন, "যতক্ষণ না পানি সরে যাচ্ছে ততদিন স্কুল বন্ধ থাকবে রাখতে হবে। পানি যাওয়ার পরও কিছুদিন লাগবে পরিচ্ছন্ন ও শুকানোর জন্য। প্রথমে আমরা পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুলে আনব তারপর পর্যায়ক্রমে বাকি শিক্ষার্থীদের স্কুলে নিয়ে আসব। আপাতত শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পোষাতে বাসায় পড়ালেখা করার জন্য উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে।"
এদিকে হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হরিপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৬ মে সকাল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে স্কুল দুটি। তাই সম্ভব হচ্ছে না পাঠদান।