প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে হৃদরোগে আক্রান্তের মৃত্যুহার কমিয়ে আনা সম্ভব, আলোচনা সভায় পরামর্শ।
Published : 02 Mar 2024, 08:26 PM
দেশে প্রতি চারজনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে এবং হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।
শনিবার রাজধানীতে ‘ইম্প্রুভিং কার্ডিওভাসকুলার হেলথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
অনুষ্ঠানে মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য বিষয়ক অলাভজনক সংস্থা ‘রিজলভ টু সেভ লাইভস’ এর প্রেসিডেন্ট ও সিইও এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর সাবেক পরিচালক ডা. টম ফ্রিইডেন।
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে এবং স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর মাধ্যমে এ মৃত্যুহার কমিয়ে আনা সম্ভব বলেন চিকিৎসক টম ফ্রিইডেন।
তিনি বলেন, “হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধেও বিশ্বে অনুকরণীয় হতে পারে বাংলাদেশ। ইতোমধ্যে উচ্চ রক্তচাপের চিকিত্সা গ্রহণকারীর সংখ্যা ২০ গুণ এবং চিকিত্সা সেবার মান দ্বিগুণ করতে সক্ষম হয়েছে দেশটি। উচ্চ রক্তচাপের চিকিত্সা দিয়ে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।”
দ্রুত নগরায়ন, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য গ্রহণ এবং অন্যান্য আর্থ-সামাজিক ও জীবনযাত্রা সম্পর্কিত বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ এবং উচ্চ রক্তচাপজনিত অন্যান্য অসংক্রামক রোগের প্রকোপ ‘দ্রুত বাড়ছে’, যোগ করেন এই চিকিৎসক।
সোডিয়ামকে (লবণ) উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম প্রধান ঝুঁকি হিসেবে তুলে ধরে তিনি বলেন, “অতিরিক্ত সোডিয়াম গ্রহণের ফলে বিশ্বে বছরে প্রায় ২০ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করে এবং প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর চারটিই ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।”
উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধে সোডিয়ামের ব্যবহার কমাতে সরকারের নীতি গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের ইপিডেমিওলজি অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি গ্রহণের ফলে বিগত কয়েক বছরে এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
“বর্তমানে ১৭১টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু রয়েছে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের হার বেড়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ২৬ শতাংশ থেকে ৫২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।“
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, প্রজ্ঞা, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটর (জিএইচএআই) এবং রিজলভ টু সেভ লাইভস (আরটিএসএল) যৌথ উদ্দ্যেগে অনুষ্ঠানে জিএইচএআই’র বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস এবং প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বক্তব্য রাখেন।