নাজমুল হোসেন বলছেন, “বৃষ্টিপাত যদি থেমে যায় এবং সিটি করপোরেশনগুলো যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে মশার প্রজননক্ষেত্র কমে গেলে আপনা আপনিই রোগীর সংখ্যা কমে আসবে।”
Published : 20 Oct 2022, 05:52 PM
বৃষ্টি কমলে এবং মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে আগামী নভেম্বরের শুরুতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমতে পারে বলে আশা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম এ বিষয়ে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা উর্ধ্বমুখী, তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আশা করছে, এটা (ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব) সামনের মাসের শুরুতে কমে আসবে।
“কিন্তু এজন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখা এবং যদি আবহাওয়াজনিত কারণে বৃষ্টিপাত, যেসব ঘটনা মশার বংশবৃদ্ধিতে সহায়তা করে, তা না ঘটে।”
জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এইডিস মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল।
তার ভাষায়, “আমরা আশাবাদী, বৃষ্টিপাত যদি থেমে যায় এবং সিটি করপোরেশনগুলো যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেসব উদ্যোগের কারণে মশার প্রজননক্ষেত্র কমে আসে, আপনা আপনিই রোগীর সংখ্যা কমে আসবে।
“এ বছর বর্ষাকাল দেরিতে শুরু হয়েছে, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে দীর্ঘ সময় থেমে থেমে দীর্ঘ সময় ধরে বৃষ্টিপাত হয়েছে। পাশাপাশি কোভিড পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পাল্লা দিয়ে বেড়েছে। সবকিছু মিলিয়ে মশার প্রজননক্ষেত্র বেড়েছে। এ কারণে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে ২৮ হাজার ৬৯৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ১১০ জনের।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন কিন্তু ভর্তি হননি বা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালেও যাননি এমন মানুষেরা রয়েছেন এই হিসাবের বাইরে।
মশা নিয়ন্ত্রণে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সমন্বয়ের কোনো অভাব নেই। প্রত্যেকেই তার কাজ ঠিকমতো করছেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং স্বাস্থ্য বিভাগ একযোগে কাজ করছে। জনসচেতনতা বাড়াতে জনপ্রতিনিধিরাও কাজ করছেন।”
আরও খবর