কেমব্রিজের পিএইচডি ডিগ্রিধারী ডা. ফ্লোরা এখন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসির) পরিচালকের পদে রয়েছেন।
বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে দেশে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন রোগতত্ত্ববিদ সেব্রিনা ফ্লোরা।
তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনা উন্নয়ন শাখার অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব দিয়ে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। তিনি ২০ অগাস্ট থেকে অতিরিক্ত মহাপরিচালকের দায়িত্ব নেবেন বলে জানানো হয়েছে।
অধ্যাপক সেব্রিনা ফ্লোরা ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। এমবিবিএস পাস করার পর বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছিলেন তিনি।
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান-নিপসম থেকে রোগতত্ত্বে স্নাতকোত্তর করেন তিনি। এরপর তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দিয়ে তিন বছর গবেষণা করেন।
ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা ২০১৬ সালে আইইডিসিআরের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান।
তিনি ফাউন্ডেশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের ফেলো।
চীনে নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি থেকে আইইডিসিআরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সবশেষ তথ্য তুলে ধরা শুরু করেছিলেন সেব্রিনা ফ্লোরা।
মাসখানেক পরে আইডিসিআর থেকে এই দায়িত্ব নিয়ে নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে অনলাইন বুলেটিন পড়ে আসছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা, যা বুধবারই বন্ধ হয়ে যায়।
অনিয়ম নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে সম্প্রতি স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক রদবদল আনে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদও চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন।