মূত্রের নমুনার সাধারণ পরীক্ষার মাধ্যমেই অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সনাক্ত করা যেতে পারে, বলছেন বিজ্ঞানীরা।
Published : 04 Aug 2015, 09:36 PM
সেটা সম্ভব হলে বর্তমানে যে উপায়ে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সনাক্ত করা হয় তার চেয়ে আরো অনেক আগেই এ রোগ ধরা পড়বে।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মূত্র নমুনায় এমন একটি প্রোটিনের উপস্থিতি পেয়েছেন যা আক্রান্ত নন এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না।
যুক্তরাজ্য এবং স্পেনের বিজ্ঞানীরা মূত্র পরীক্ষায় এ রোগ আগেভাগেই ধরা পড়ার ব্যাপারে এ আশার বাণী শুনিয়েছেন। প্রায় ৫শ’ মূত্রের নমুনা নিয়ে গবেষণা করে তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেন।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার এমন সময় সনাক্ত হয় যখন আর কিছু করার থাকে না। অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ার পর মাত্র ৩ শতাংশ রোগী পাঁচ বছর বেঁচে থাকেন।
‘ক্লিনিকাল ক্যান্সার রিসার্চ জার্নাল’ গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছে। ক্যান্সার চ্যারিটি কর্তৃপক্ষ এ গবেষণাকে স্বাগত জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যে প্রতিবছর প্রায় নয় হাজার মানুষের অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সনাক্ত হয়। মানুষ সাধারণত যে ধরনের ক্যান্সারে বেশি আক্রান্ত হয় সেগুলোর ক্ষেত্রে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্তরা সবচেয়ে কম দিন বেঁচে থাকে।
আর গত ৪০ বছরে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে চিকিৎসা বিজ্ঞানে সাফল্যও অনেক কম।
৮০ শতাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে যখন অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সনাক্ত হয় তখন তা পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়া অবস্থায় পাওয়া যায়, অস্ত্রোপচারের আর কোনো সুযোগ থাকে না।
অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করে টিউমার সরিয়ে ফেলা ছাড়া আপাতত আর কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি নেই।
যাদের পরিবারের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস আছে, যারা অতিরিক্ত ধূমপান করে, যারা স্থুলতায় আক্রান্ত এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে যাদের সম্প্রতি ডায়েবেটিস ধরা পড়েছে তাদের অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।