স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের জরুরি সভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে টিম গঠনের পাশাপাশি জনসচেতনতা সৃষ্টি, মশার প্রজননস্থল নষ্ট করা ও পরিচ্ছন্নতা অভিযানসহ বিস্তারিত আলোচনা হয়।
Published : 23 Sep 2024, 07:51 PM
চলতি মওসুমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকির জন্য দশটি টিম গঠন করেছে সরকার।
সোমবার এক জরুরি সভায় এসব টিম গঠনের কথা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু মোকাবিলায় চারটি টিম এবং উত্তর সিটির জন্য তিনটি টিম কাজ করবে। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশনের জন্য গঠন করা হয়েছে একটি টিম।
পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ পৌরসভা যেমন- সাভার, দোহার, তারাব, রূপগঞ্জ এবং অন্যান্য পৌরসভার জন্য আরও একটি টিম গঠন করা হয়েছে৷ এছাড়া ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলার কাজের সমন্বয় ও তথ্য সংগ্রহের জন্য সাত সদস্যের আরেকটি টিম কাজ করবে।
প্রতি টিমে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে প্রধান করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব এলাকা পরিদর্শন করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম তদারকি করবেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্য সংগ্রহ কমিটির কাছে নিয়মিতভাবে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপ এবং অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন দিতে হবে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে নেওয়া পদক্ষেপ এবং অভিযান পরিচালনার প্রতিবেদন নিয়মিতভাবে ওয়েবসাইট, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে ডেঙ্গুর প্রকোপ ততটা মারাত্মক না থাকলেও বর্ষা মৌসুমের শেষে এসে এইডিস মশাবাহিত এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৯০০ জনে,যাদের মধ্যে অর্ধেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২২ দিনে।
আর সব মিলিয়ে ১৩৩ জন এ বছর ডেঙ্গুতে মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেপ্টেম্বর মাসে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের দিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার একটি আশঙ্কা তারা আগেই করেছিলেন। সে অনুযায়ী তখন ব্যবস্থা নিলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সোমবারের সভায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি, মশার প্রজননস্থল নষ্ট করা, পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং লাভা ও মশা নিধন কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম, এ কে এম তারিকুল আলম, মো. ফজলুর রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক এ এইচ এম কামরুজ্জামান সভায় উপস্থিত ছিলেন