সেপ্টেম্বর মাসে চট্টগ্রামে শনাক্ত ৫১৫ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে ১০৬ জনই কোতোয়ালি থানা এলাকার বাসিন্দা।
Published : 08 Oct 2024, 09:11 PM
চট্টগ্রাম নগরীর সাতটি স্থানকে ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্যবিভাগ।
সেপ্টেম্বর মাসের শনাক্ত রোগীর তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর এসব এলাকা শনাক্ত করে ‘লাল’ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
লাল জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকাগুলো হল- কোতোয়ালি, বাকলিয়া, বায়েজীদ, বন্দর, পাহাড়তলি, খুলশী ও চকবাজার।
১ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ৫১৫ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০৬ জন শনাক্ত হয়েছে কোতোয়ালি থানা এলাকায়।
এরপর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১০৩ জন শনাক্ত হয়েছে বাকলিয়া থানা এলাকায়। এরপর যথাক্রমে বায়েজীদ এলাকায় ৭৬ জন, বন্দর এলাকায় ৩৩ জন, পাহাড়তলীতে ৩২ জন, খুলশীতে ২৩ জন এবং বন্দর এলাকায় ২০ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে সেপ্টেম্বরে।
‘হলুদ’ জোন তথা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে আরও পাঁচটি এলাকা। সেগুলো হলো পাঁচলাইশ (১৯ জন), হালিশহর (১৮ জন), পতেঙ্গা (১৫ জন), চান্দগাঁও (১১ জন) এবং ডবলমুরিং (১০ জন)।
জেলা কীটতত্ত্ববিদ এনতেজার ফেরদাওছ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নগরীতে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যার ভিত্তিতে এসব এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতটি অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। এই তালিকা আমরা সিটি করপোরেশনকে দিয়েছি। তারা এর ভিত্তিতে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধংস করা, ওষুধ ছিটানো এবং মানুষকে সচেতন করার কাজ করবে।
“আমরা গত মাসে যে এইডিস মশার জরিপের কাজ করেছি, সেখানে দেখতে পেয়েছি যেখানে মশার উপস্থিতি বেশি সেখানে রোগীর সংখ্যাও মোটামুটি বেশি। এসব বিষয় স্বাস্থ্য বিভাগ এবং সিটি করপোরেশনকে জানানো হয়েছে।”
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মঙ্গলবারের প্রতিবেদন অনুসারে, আগের ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম জেলায় নতুন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ২১ জন।
মঙ্গলবার পর্যন্ত চলতি মাসের প্রথম দিনে ৮ দিনে রোগী শনাক্ত হয়েছে মোট ৩৬২ জন। এরমধ্যে নগরীর বাসিন্দা ২৫২ জন এবং বাকিরা জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। তবে চলতি মাসে জেলায় ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে জেলায় মোট ৯০৭ জন রোগী শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে নগরীর বাসিন্দা ৫৮৫ জন। ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১১ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৮৬৭ জন। যার মধ্যে ১১৫৩ জন নগরীর এবং ৭১৪ জন উপজেলা গুলোর বাসিন্দা।
এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জনের। তাদের মধ্যে ১০ জনই নারী। চারজন পুরুষ এবং বাকি দুজন শিশু।