এদিনই হাসপাতালটির অন্তর্বিভাগ কার্যক্রম উদ্বোধন হয়।
Published : 06 Jul 2023, 12:35 AM
ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে অস্ত্রোপচার শুরু হয়েছে।
বুধবার হাসপাতালটির প্রসূতি ও স্ত্রী রোগ বিভাগে ভর্তি একজন প্রসূতির অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
এদিনই হাসপাতালটির অন্তর্বিভাগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছিলেন।
২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল উদ্বোধন করেন। ২৭ ডিসেম্বর থেকে ১৪টি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত রোগী দেখছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার আর্থিক সহায়তায় ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ের এই হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়।
৭৫০ শয্যার হাসপাতালটির বিভিন্ন বিভাগে ১৪টি আধুনিক অপারেশন থিয়েটার থাকছে। ১০০ শয্যার আইসিইউ থাকছে এখানে, জরুরি বিভাগে শয্যা ১০০টি। ৬টি ভিভিআইপি কেবিন, ২২টি ভিআইপি কেবিন, ২২টি ডিলাক্স বেড থাকছে হাসপাতালটিতে।
আন্তঃবিভাগ এবং সার্জারি বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, বুধবার ওই প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ান সেকশন ছাড়াও আরও পাঁচটি অস্ত্রোপচার হয়েছে গাইনি বিভাগে। স্তনের অস্ত্রোপচার হয়েছে দুটি এবং একটি ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি হয়েছে।
এই পর্যন্ত হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ২০ হাজারের বেশি রোগী।
এছাড়া রোগ নির্ণয়ের জন্য ৩৩ হাজার ৯৩টি পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫৫৬টি এমআরআই, ৩১৩টি সিটি স্ক্যান, ১১টি বিএমডি, ২০ হাজার ৩৭৫টি বায়োকেমিস্ট্রি পরীক্ষা, মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ইমিউনোলজির ৩ হাজার ৪৭৬টি পরীক্ষা, ভাইরোলজির ২ হাজার ২৫০টি পরীক্ষা, হেমাটোলজির ২ হাজার ৯টি পরীক্ষা, ল্যাবরেটরি মেডিসিনের ৪ হাজার ৯৮৩টি পরীক্ষা।
এছাড়া চালু হওয়ার পর থেকে এখানে ৮১টি ইসিজি এবং নয়টি ইটিটি করা হয়েছে বলে জানান শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, গত বছর অবকাঠামো উদ্বোধনের পর ২৭ ডিসেম্বর থেকে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১৪টি বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগী দেখেন।
“এখানে নিয়ম করে দিয়েছি একজন চিকিৎসক একদিনে ২০ জনের বেশি রোগী দেখবেন না। এছাড়া রোগীকে যথেষ্ট সময় নিয়ে দেখবেন। এতে রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আরও আগ্রহী হবেন।”
মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “আমরা চাই দেশে এমন একটি হাসপাতাল হোক, যেটি হবে বিশ্বমানের, যেটি নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। যেসব রোগী দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য যায়, তাদের যেন বিদেশে যাওয়া না লাগে। সুলভ মূল্যে রোগীরা সেবা পাবে।“