সিনেমায় কাজের চেয়ে ইদানিং প্রেম-বাগদান, বাগদানে ভেঙে অন্য একজনকে বিয়ে এবং বিচ্ছেদ নিয়েই বেশি আলোচিত বলিউডের প্রভাবশালী কাপুর পরিবারে মেয়ে কারিশমা কাপুর। অনেক বছর চুপচাপ থাকার পর ফের কারিশমা আলোচনায় তার সাবেক স্বামীকে নিয়ে।
বলিউড শাদিস ডটকম জানিয়েছে, দিন দুই আগে মুম্বাইয়ে এক রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে দেখা গেছে সাবেক এই দম্পতিকে। গাড়ি থেকে নামা এবং ওঠার সময় আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায় বন্দি হন দুজন। তাদের সঙ্গে মেয়ে সামাইরা কাপুরও ছিল।
ওই ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে কারিশমা ও তার সাবেক স্মামী সঞ্জয় কাপুরের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা শুরু হয় সোশাল মিডিয়ায়।
যদিও সব আলোচনাই এখন পর্যন্ত জল্পনায় সীমাবদ্ধ।কেউ বলছেন, কারিশমাও তাহলে বাবা-মায়ের পথে যাচ্ছেন?
কারও ধারণা, এটা সামাজিক সাক্ষাৎ ছাড়া কিছুই নয়, কারণ সঞ্জয় তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদে যাননি।
কারিশমার বাগদান হয়েছিল অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে। বাগদানের আগে ২০০০ সালে ‘হ্যাঁ ম্যায়নে ভি পেয়ার কিয়া হ্যায়’ সিনেমার শুটিং সেট থেকে ওই সিনেমার নায়ক-নায়িকা অভিষেক-কারিশমার প্রেমের গুঞ্জন ছড়াতে শুরু করে।
রণধীর কাপুর আর ববিতার মেয়ে কারিশমা তখন রীতিমতো তারকা, আর অমিতাভ-জয়া বচ্চনের ছেলে অভিষেকের আসন তখনও বলিউডে পোক্ত হয়নি। কিন্তু তাতে প্রেম আটকায়নি।
জয়া বচ্চনও সে সময়ে অভিষেকের এক জন্মদিনে কারিশমাকে নিজের ভাবী পুত্রবধূ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সেই জন্মদিনের অনুষ্ঠানের দিন কয় পর শোনা যায়, অভিষেক-কারিশ্মার সম্পর্ক চুকেবুকে গেছে।
অভিষেকের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০০৩ সালে কারিশমা বিয়ে করেন ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপুরকে।
অভিযোগ উঠেছিল, বিয়ের পরদিন থেকেই সঞ্জয় এবং তার পরিবার নাকি কারিশমার উপর ‘মানসিক অত্যাচার’ শুরু করেন। মধুচন্দ্রিমা থেকে শুরু করে পরের অনেক বছর পর্যন্ত কারিশমাকে নাকি ‘মারধর’ করতেন সঞ্জয়। এরপর দুই ছেলেমেয়েকে নিয় আলাদা থাকতে শুরু করেন কারিশমা।
শেষমেশ ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদে যান কারিশমা ও সঞ্জয়। এরপর দীর্ঘদিনের বান্ধবী ও প্রেমিকা প্রিয়া সাচদেভকে বিয়ে করেন সঞ্জয়।
এখন পর্যন্ত একাকী জীবনে থাকা করিশমা আপাতত নতুন কাজ নিয়ে ব্যস্ত। ওয়েব সিরিজ় ‘ব্রাউন’ এর শুটিংও শেষ করেছেন তিনি।
এদিকে কিছুদিন আগে বিচ্ছেদের ইতি টেনে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছেন কারিশমা-কারিনার বাবা-মা রণধীর কাপুর ও ববিতা কাপুর। ববিতা ও রণধীরের ওই সিদ্ধান্তের পেছনের কারিগর হলেন তাদের দুই মেয়ে।
পুরনো খবর