রাহুলের সঙ্গে একতারাও বাজিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডিন্ট।
Published : 06 Feb 2024, 11:19 AM
গানের দল ‘জলের গান’ এর সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও যন্ত্রী রাহুল আনন্দের ঢাকার বাসায় আনন্দ আড্ডায় কিছুটা সময় কাটিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ।
রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছে মধ্যরাতে তিনি উপস্থিত হন রাহুলের ধানমণ্ডির বাসায়। সেখানে তিনি রাহুলের গলায় বাংলাদেশের গান শোনেন, এই শিল্পীর স্টুডিওতে ঘুরে ঘুরে হরেক বাদ্যযন্ত্র দেখেন।
এমনকি রাহুলের সঙ্গে একতারাও বাজিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডিন্ট। একে অন্যকে তারা দিয়েছেন উপহার।
রাহুল গ্লিটজকে বলেন, "ফরাসি প্রেসিডেন্ট গানের মানুষ। সংগীতই আমাদের দুই ভুবনের দুজন মানুষকে একসঙ্গে করেছেন। মাক্রোঁ
গিটারিস্ট। গান নিয়ে আমার যে জগত, সেটি দেখতে এসেছিলেন, আমি গর্ব অনুভব করেছি। তাকে বাংলাদেশের মাটির গান ও সুর শুনিয়েছি।"
'নাইয়া রে নাওয়ের বাদাম', 'আমি বাংলায় গান গাই'সহ কয়েকটি বাংলা গান মাক্রোঁকে গেয়ে শোনান রাহুল। সেই সঙ্গে গানের মর্ম বাণী ইংরেজিতে বুঝিয়ে দেন।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কলম উপহার পেয়েছেন জানিয়ে রাহুল বলেন, "তিনি আমার কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন, আমি যেন এই কলম দিয়ে গান ও কবিতা লিখি এবং লিখি প্রকৃতি ও প্রাণের কথা। একদিন উনি সেই গান শুনবেন।"
ফরাসি প্রেসিডেন্টকে রাহুল একটি বাংলাদেশি বাদ্যযন্ত্র উপহার দিয়েছেন।
দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে রোববার ঢাকায় আসেন প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ। রাতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আয়োজিত নৈশভোজ অংশ নিয়ে সেখান থেকে রাহুলের বাসা ও স্টুডিওতে যান।
সে সময় মাক্রোঁর সঙ্গে ছিলেন সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং সংগীতশিল্পী আশফিকা রহমান, কামরুজ্জামান স্বাধীন ও আফরোজা সারা।
রাহুলের স্ত্রী চিত্রশিল্পী ঊর্মিলা শুক্লা এবং ছেলে তোতাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে অটোগ্রাফ চেয়ে নেয় তোতা। অটোগ্রাফ দিয়ে তোতার সঙ্গে আলাদা করে ছবিও তোলেন মাক্রোঁ।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)