নতুন এক যাত্রায় হালুম টুকটুকি ইকরি শিকু

দেশের তিন বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রচারে একসঙ্গে কাজ করবে ইউনেস্কো-সিসিমপুর।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2022, 05:24 PM
Updated : 6 Dec 2022, 05:24 PM

শিশুদের কাছে বাংলাদেশে ইউনেস্কোর তিন বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন, ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট ও পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারকে পরিচিত এবং জনপ্রিয় করতে একসঙ্গে কাজ করবে ইউনেস্কো এবং সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (সিসিমপুর)।

সিসিমপুরের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিশুদের প্রিয় সিসিমপুরের চরিত্রগুলোকে দিয়ে এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্যের উপর তৈরি করা হবে এডুটেইনমেন্ট ভিডিও। পাশাপাশি শিশুদের জন্য থাকবে কিছু অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমও।

এই উপলক্ষে মঙ্গলবার ইউনেস্কোর ঢাকা কার্যালয়ে ইউনেস্কো এবং সিসিমপুরের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইউনেস্কো বাংলাদেশের অফিস প্রধান সুজান ভাইজ এবং সিসিমপুরের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ শাহ আলম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন।

নতুন এই উদ্যোগ সম্পর্কে ইউনেস্কো বাংলাদেশের প্রধান সুজান ভাইজ বিজ্ঞপ্তি মারফত বলেন, “ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কনভেনশনের ৫০তম বার্ষিকীতে সিসিমপুরের সাথে এই যৌথ কার্যক্রম শুরু করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এর মধ্য দিয়ে হালুম, টুকটুকি, ইকরি এবং শিকুর সাথে আমাদের একটি বর্ণিল এবং ফলপ্রসু যাত্রার সূচনা হল।”

তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি এই কার্যক্রম বাংলাদেশের শিশুদের কাছে দেশটির তিন বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানকে আরও ব্যাপকভাবে পরিচিত করে তুলবে।”

শাহ আলম বলেন, “ইউনেস্কোর এই বিশ্ব ঐতিহ্য আমাদের জন্য গর্বের। কিন্তু শুধু শিশুরাই নয় আমাদের দেশের এই তিন বিশ্ব ঐতিহ্য সম্পর্কে আমরা অনেকেই ঠিকঠাক জানি না। অথচ এই বিষয়ে সবারই জানা দরকার। নতুন এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা শিশু এবং নতুন প্রজন্মের তরুণদের কাছে ইউনেস্কোর তিন বিশ্ব ঐতিহ্যকে পরিচিত এবং জনপ্রিয় করতে চাই।”

১৯৮৫ সালে ঐতিহাসিক মসজিদের শহর বাগেরহাট, পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার এবং ১৯৯৭ সালে সুন্দরবন ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট’ তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়।