বলিউড অভিনেতা রাজ কাপুরের পিতৃপুরুষের ওই বাড়ি ২০১৬ সালে ‘হেরিটেজ’ ঘোষণা করে প্রাদেশিক সরকার।
Published : 04 May 2023, 06:48 PM
পাকিস্তানে বলিউড কিংবদন্তি রাজ কাপুরের পিতৃপুরুষের বাড়ি ভেঙে শপিং মল তৈরির আবেদন করেছিলেন এক ব্যক্তি, তার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে পোশোয়ার হাই কোর্ট।
ইনডিয়া টুডে জানিয়েছে, দেশভাগের সময় পাকিস্তানের ওই বাড়ি ছেড়ে পাকাপাকিভাবে ভারতে চলে আসে রাজ কাপুরের পরিবার। খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানীতে কাপুর হাভেলি নামের ওই বাড়ি ২০১৬ সালে জাতীয় ঐতিহ্য (ন্যাশনাল হেরিটেড) হিসেবে সংরক্ষিত সম্পত্তি ঘোষণা করে প্রাদেশিক সরকার।
ওই বাড়ির মালিকানা দাবি করে মামলাটি করেছিলেন সাঈদ মুহম্মদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেন, তার বাবা ১৯৬৯ সালে বাড়িটি কিনে নেন এবং সরকার অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করার আগ পর্যন্ত সেটি তাদের দখলেই ছিল। এখন তিনি ওই বাড়ি ভেঙে শপিং মল বানাতে চান।
বিচারপতি ইশতিয়াক ইব্রাহিম এবং বিচারপতি আবদুল শাকুরের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার ওই মামলা খারিজ করে দেয়। আর এই সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে একই ধরনের আরেকটি মামলার নজির উল্লেখ করে আদালত।
সেই মামলায় পেশোয়ারের কিসা খোয়ানি বাজারে কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমারের হাভেলির মালিকানা নিয়ে এক ব্যক্তির দাবি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই বাড়িটি জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণা করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
সাঈদ মুহম্মদের মামলার শুনানিতে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতকে বলেছিলেন, প্রাদেশিক প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ২০১৬ সালে এক আদেশের মাধ্যমে কাপুর হাভেলিকে জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণা করে।
অন্যদিকে বাদীর আইনজীবী সাবাহউদ্দিন খট্টক আদালতকে বলেন, তার মক্কেলের পরিবার ১৯৬৯ সালে নিলামের মাধ্যমে ওই বাড়ি কিনে নেয় এবং দামও শোধ করে। প্রয়াত রাজ কাপুর কিংবা তার পরিবার ওই সম্পত্তির মালিক ছিলেন বা সেখানে থাকতেন, এমন কোনো প্রমাণ কারো কাছে নেই।
আদালত তখন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে জানতে চায়, তাদের কাছে এমন কোনো নথি বা প্রমাণ আছে কি না, যাতে প্রমাণিত হয় যে, রাজ কাপুর পরিবার কখনও ওই বাড়িতে বসবাস করত।
শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার মামলাটি খারিজ করে দিয়ে হাই কোর্ট বলেছে, বাদী চাইলে বিষয়টি নিয়ে দেওয়ানি আদালতে আলাদা মামলা করতে পারেন।
পিটিআই জানিয়েছে, পেশোয়ারের কাপুর হাভেলি এখন খুবই জরাজীর্ণ দশায় আছে। কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ কাপুরের দাদা দেওয়ান বসেশ্বরনাথ কাপুর ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে ভবনটি নির্মাণ করেন। রাজ কাপুর এবং তার চাচা ত্রিলোক কাপুর সেখানেই জন্মগ্রহণ করেন।
রাজ কাপুরের দুই ছেলে ঋষি কাপুর ও রণধীর কাপুর সর্বশেষ ১৯৯০ সালে ওই বাড়ি দেখতে গিয়েছিলেন।