পহেলা বৈশাখের দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে এ সংগঠন।
Published : 09 Apr 2024, 08:09 PM
বর্ষবরণের আয়োজন সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার যে নির্দেশনা সরকার দিয়েছে, তা না মানার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
পহেলা বৈশাখের দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে এ সংগঠন।
মঙ্গলবার উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্ষবরণের অনুষ্ঠান শেষ করার সরকার নির্ধারিত সময় পার হওয়ার পর শুরু হবে উদীচীর অনুষ্ঠান।
“কয়েক বছর ধরেই বর্ষবরণ উৎসবকে নির্দিষ্ট সময়ের ঘেরাটোপে বেঁধে দেওয়ার একতরফা পদক্ষেপ নিয়ে আসছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও সারাদেশে পহেলা বৈশাখের সব উন্মুক্ত অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপের হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রকৃতপক্ষে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কাছে নির্জলা আত্মসমর্পণ ছাড়া কিছুই নয়।"
উদীচী মনে করে, "এর মাধ্যমে পক্ষান্তরে আবহমান বাংলার সংস্কৃতিবিরোধী অন্ধকারের শক্তিকেই আসকারা দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের অযাচিত সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মত নয়।"
এর প্রতিবাদে পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যা ৬টায় ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খল’ শিরোনামে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে উদীচী। এছাড়া সারাদেশে উদীচীর আয়োজনে সমমনা সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়ে যে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ উৎসব হয়, তা যথানিয়মেই আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
সেসব আয়োজনে যথাযথ সহযোগিতা করার জন্য সরকার ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে উদীচী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, "পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব। ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি নির্বিশেষে সব মানুষের মিলিত এই উৎসব এ ভূখণ্ডের চিরায়ত ঐতিহ্য, মূল্যবোধ ও জাতীয় চেতনা বিকাশে অনন্য ভূমিকা পালন করে।"
এই উৎসবের সময় নিয়ন্ত্রণ করা হলে অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাসম্পন্ন মানুষকে ঘরে বন্দি করতে যে মৌলবাদী অপতৎপরতা চলছে, তাকেই সহায়তা করা হবে বলে মনে করে উদীচী।