এবারের ঈদুল ফিতরে তারকারা কোথায়, কীভাবে কাটাবেন, ছোট বেলার ঈদের সঙ্গে এখনকার ঈদে কেমন পার্থক্য, সেইসব নস্টালজিয়ায় মোড়ানো ঈদের গল্প উঠে এসেছে গ্লিটজের আলাপে।
Published : 10 Apr 2024, 12:37 PM
বছরজুড়ে শুটিংয়ের ব্যস্ততায় ফুরসত মেলে না । দুই ঈদকে কেন্দ্র করে এই ব্যস্ততা আরও বেড়ে যায়। তবে ঈদের দিনটি অন্য সবার মত তারকারাও কেবল পরিবারের জন্যই বরাদ্দ করে রাখতে চেষ্টা করেন।
কিন্তু ঘুরেফিরে সবারই স্মৃতিতে শুধু ছোটবেলার ঈদ; সময়ে সঙ্গে যে আনন্দের রঙ আর আমেজ বদলে গেছে। তবুও ঈদের দিন ঘিরে কোনো না কোনো পরিকল্পনা সবাই নিয়েছেন, সেসবের প্রায় সবই পরিবারকেন্দ্রিক।
এবারের ঈদুল ফিতরে তাহসান আহমেদ, তানভীন সুইটি, মোশাররফ করিম, ইরেশ যাকের, সাবিলা নূর, এলিটা করিম, অমিতাভ রেজা চৌধুরী ও জিয়াউল রোশানসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে ঈদ ভাবনা নিয়ে কথা বলেছে গ্লিটজ। দেশের নাটক, সিনেমা, সংগীত ও নির্মাণ জগতের এই মানুষগুলোর নস্টালজিয়া মোড়ানো ঈদের গল্প উঠে এসেছে গ্লিটজের আলাপে।
ক্যাসেড এবং সিডি কেনাই ছিল তাহসানের আনন্দ
কৈশোর-তারুণ্যে অভিনেতা গায়ক তাহসান খান ঈদের আগে খুঁজে খুঁজে কিনতেন পছন্দের গানের ক্যাসেট ও সিডি। প্রযুক্তির দাপটে ক্যাসেট-সিডি বিদায় নেওয়ায় সেদিনগুলো দারুণ মিস করেন তাহসান। আর এখন তাহসানের ঈদের সকাল কাটে মেয়ে আইরা তেহরীম খানের সঙ্গে।
তাহসান বলেন, “মেয়ের সঙ্গে থাকছি ঈদের সকালে, বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে। তাছাড়া আর কিছু করা হয় না।”
পুরনো সময়ের ঈদ স্মৃতি নিয়ে তিনি বলেন, “অনেক পার্থক্য খুঁজে পাই। তখন আমাদের ঈদ মানে ছিল নিউ মার্কেটে বা এলিফ্যান্ট রোডে ক্যাসেট এবং সিডি কিনতে যাওয়া। ঈদের দুই দিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতাম। তখন অনেক অ্যালবাম রিলিজ হত। একদম ছোট ছিলাম যখন তখন ক্যাসেট বের হত। তারপর সিডি। ক্যাসেট এবং সিডি কেনাটাই ছিল আমার জন্য আয়োজন। ঈদের চাঁদরাতে, ঈদের সারাদিন ডিস্কে গান বাজত, এটাই ছিল আমার ঈদের সবচেয়ে বড় আনন্দ।
“তখন দেখা যেত একেকটা ব্যান্ড, আর্টিস্টের অ্যালবাম আসতই। এক ঈদে অনেকগুলো অ্যালবাম আসত, সেগুলা শোনা ছিল ঈদের আমেজ। ওই সময়টা মিস করি এখন।”
উপহার দেওয়াতেই আনন্দ সুইটির
শ্বশুর বাড়ি ও বাবার বাড়ি ঘুরে ঈদের ছুটি কাটিয়ে দেন নব্বই দশকের মডেল ও অভিনেত্রী তানভীন সুইটি। সুইটির ভাষ্য, ছোটবেলায় ঈদের জামাকাপড় লুকিয়ে রাখার ওইদিন তো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এখন উপহার পাওয়ার চেয়ে দিতেই বেশি আনন্দ পান এই অভিনেত্রী।
“ঈদের দিনটি সাদাসিধেভাবেই কাটে। স্বামী নামাজ থেকে আসার পর টেবিলে খাবার দেওয়া হয়। ছুটি পেলে শ্বশুর বাড়ি, বাবার বাড়ি ঘুরতে যাওয়া হয়। সন্ধ্যার পর বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা হয়। সব মিলিয়ে ঈদের দিন শুধু নয় পরের তিনচার দিনও ঈদের আমেজ থাকে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঈদ নিয়ে চিন্তাভাবনাও কিছুটা পাল্টেছে জানিয়ে সুইটি বলেন, “এখন চিন্তা করি আমার আশপাশের মানুষের কথা। আমি আমার জায়গা থেকে যতদূর সম্ভব হয় তাদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। চারপাশের মানুষ যেন ভালো ঈদ করতে পারে সেই চিন্তা করি। ছোটবেলায় কিন্তু এসব চিন্তা আসত না।”
এখন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েই ঈদের আনন্দ বেশি পান বলে জানানলেন সুইটি।
তৌসিফের এখনকার ঈদ অনেক ‘ম্যাচিওর’
ঈদে আসছে তরুণ অভিনেতা তৌসিফ মাহবুবের পাঁচটি নাটক। মানের দিক বিবেচনা করে আগের তুলনায় নাটক কমিয়ে দিয়েছেন এই অভিনেতা। তৌসিফের ভাষ্য, কাজগুলো দর্শকরা কিভাবে নিচ্ছেন সেই চিন্তায় ঈদ কাটবে তার।
“এবারের ঈদের দিন কাটাব অনেক চিন্তা নিয়ে, কারণ এবার অনেক কষ্ট করে অনেকগুলো কাজ করেছি৷ যেখানে আশা থাকে সেখানে হতাশ হওয়ার চিন্তাও থাকে৷ আমাদের ঈদ একেকটা কাজ, একেকটা নাটককে ঘিরে হয়। সেটা থেকে কেমন ফিডব্যাক পাব, সেটার ভয়ও থাকে।”
এখনকার ঈদ অনেক ‘ম্যাচিউর’ জানিয়ে তৌসিফ বলেন, “ছোটবেলায় ঈদে ভাবতাম আমি কী পাব। এখন ভাবি কাকে কী উপহার দিতে হবে। ছোটবেলা আর বড়বেলার ঈদের পার্থক্য এটাই।”
ঈদের ফাঁকা ঢাকায় ঘুরে বেড়ান মোশাররফ
নাটক-সিনেমা-সিরিজের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা মোশাররফ করিমের ঈদের দিনের একবেলা ঘুমিয়ে কাটে।
তিনি বলেন, “আরেকবেলা বাসা থেকে বের হই ঢাকার রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকে, তখন ভালো লাগে, ঘুরে বেড়াই। বন্ধুদের সঙ্গে ঈদের আগের রাতের আড্ডা, ঈদের দিনের আড্ডা এই বিষয়গুলোতো থাকেই৷”
ছোট-বড়বেলার ঈদের পার্থক্য নিয়ে মোশাররফের উত্তর হল, “বিস্তর ফারাক। ঈদটা ছেলেবেলারই৷ যেহেতু ছেলেবেলার সকল কিছুই সুন্দর, মাথায় কোনো চাপ থাকে না, দায়িত্ব থাকে না। ছেলেবেলার ঈদের সবচেয়ে দারুণ ব্যাপার যেটা ছিল, সেটা হল বন্দিজীবন থেকে একটা ছাড় দেওয়া হত, যেখানে খুশি সেখানে যাও। সেই ছাড় দেওয়াটা অসাধারণ লাগত। এখন তো সেই ছাড় দেওয়ার বয়সেই আছি কিন্তু ছুটির স্বাদটা আর পাই না।”
বাবার উপস্থিতিই তানিয়ার আনন্দ
অভিনেতা মোশাররফ করিমের অনেক নাটকের অভিনেত্রী তানিয়া বৃষ্টির বাবা থাকেন দেশের বাইরে। ঈদের সময় বাবা আসবেন দেশে, এই আনন্দ থাকেন তিনি।
“আব্বু দুই এক বছর পরপর ঈদের মধ্যে আসে। এবারের ঈদে আব্বু দেশে আছেন। আব্বু থাকলে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যাওয়া হয়। সবাই একসঙ্গে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করার পরে হয়তো বাবাকে নিয়ে সাজেক, বান্দরবান কোথাও ঘুরতে যাব।”
আরও অনেকের মত ছোটবেলার ঈদের আনন্দটা এই সময়ে এসে খুঁজে বেড়ান বলে জানান বৃষ্টি।
মায়ের হাতের রান্নাই হল বাসারের ঈদ
অভিনেতা খায়রুল বাসারের ঈদ কাটবে ময়মনসিংহে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।
তিনি গ্লিটজকে বলেন, “ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গে কাটানো হয়। এবার ঈদও ময়মনসিংহে পরিবারের সঙ্গে। মায়ের হাতের রান্না, এটাই ঈদ। সবাই মিলে বসে একসাথে বসে খাওয়া, বিকেলে ঘুরতে বের হওয়া এসব মিলিয়ে কেটে যায়।”
ঈদের পরে কিশোরগঞ্জে দেশের বাড়িতে যাবেন বাসার। যেখানে তার দাদা-দাদি, চাচা-চাচিরা থাকেন।
মেয়ের আনন্দ দেখতে ভালো লাগে বাঁধনের
ঈদে অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের সিনেমা মুক্তির কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। সিনেমা মুক্তি পেলে হয়ত ঈদের দিনটি অন্যরকম কাটত তার।
“ঈদের দিন মেয়েকে নিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাসায় ঘোরাঘুরির প্ল্যান আছে। এবার ঈদের পরে হয়ত চট্টগ্রাম যেতে পারি। ছোটবেলার ঈদ অনেক আনন্দের ছিল। এখন এত আনন্দ লাগে না। মেয়ের আনন্দ দেখলে ভালো লাগে। মেয়ে খুব এনজয় করে।”
ইরেশের ঈদ কাটে পরিবারের সঙ্গে
বাবা অভিনেতা আলী যাকেরকে হারানোর পর এখন মা, স্ত্রী, কন্যা আর বোনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন অভিনেতা ইরেশ যাকের।
“আগে ঈদে মাঝেমধ্যেই ভ্রমণ পরিকল্পনা থাকত। এখন আমার কন্যা আসার পরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করি। কারণ আমার মেয়ের জীবনের প্রথম ঈদটি ছিল আমার বাবার (আলী যাকের) জীবনের শেষ ঈদ। তারপরেরটা আমার নানীর জীবনের শেষ ছিল। তারপর থেকে চেষ্টা করি ঈদগুলো যেন পরিবারের সঙ্গে করতে পারি। ঈদের দুপুর কাটে আমার শ্বশুর বাড়িতে। সেখানে দুপুরে খাওয়া দাওয়া হয়। রাতের বেলা আমার মায়ের বাসায় আসি।”
ঈদে সিনেমা দেখবেন সাবিলা নূর
শ্বশুর বাড়ি ও বাবার বাড়িতে ভাগাভাগি করে ঈদ দিনটি কাটিয়ে দেন সাবিলা নূর। তবে এবার সেটি হচ্ছে না।
“আমার শ্বশুর বাড়ি ও বাবার বাড়ি যেহেতু পাশাপাশি, দেখা যায় দুপুরের সময়টা শ্বশুর বাড়িতে থাকা হলে রাতে থাকা হয় নিজের বাড়িতে। এবার ঈদ পুরোটাই শ্বশুরবাড়িতে। কারণ এই ঈদে আমার আম্মু-আব্বু দুজনের কেউই দেশে থাকবেন না। তাই ঈদে নেহালের (স্বামী নেহাল তাহের) পরিবার ও তার কাজিনদের সঙ্গে সময় কাটছে।“
ছেলেবেলার মত করে ঈদের আনন্দ সাবিলাও খুঁজে পাননা জানিয়ে সাবিলা বলেন, “সবাইকে নিয়ে হয়ত সিনেমাও দেখা হবে।”
বন্ধুরা মিলে ঘণ্টা চুক্তিতে রিকশায় ঘুরতাম: মীর সাব্বির
অভিনেতা মীর সাব্বিরে কাছে ঈদ হচ্ছে দুই সন্তানকে নিয়ে একসঙ্গে নামাজ পড়তে যাওয়া। ঈদের দিন নানা বাসায় আসা আত্মীয়-স্বজনদের আপ্যায়ন করেও সময় যায় সাব্বিরের।
“বাবা যখন ছিলেন বাবার সঙ্গে নামাজ পড়তে যাওয়া হত, সব ভাই একসঙ্গে নামাজ পড়তে যাওয়ার একটা রীতি ছিল। এখন বাবা নেই, ছেলেদের নিয়ে নামাজ পড়তে যাই৷ ঈদের পরদিন শ্বশুর বাড়িতে যাই, এভাবেই চলে যাচ্ছে।”
ছোটবেলায় ছেলে ছিলাম এখন আমি ব্যাটা হয়ে গেছি, এটাই পার্থক্য- দুই বয়সের ঈদের পার্থক্য এমনভাবেই প্রকাশ করেন সাব্বির।
তিনি বলেন, “ওই সময়ের আনন্দ ওই সময়ের ফুর্তি সেটা এখন ভাগ হয়ে গেছে। এখন সন্তান, পরিবারের সঙ্গে দায়িত্ব নিয়ে ঈদ কাটাতে হয়৷ আগে বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়া, এক রিকশায় কয়েকজন মিলে ঘণ্টা ভাড়া করে ঘুরে বেড়ানো, এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি যাওয়া। এসব স্মৃতি অমলিন হয়ে থাকবে৷”
ভাইবোনদের সঙ্গে ঘরদোর গোছাতেন নওশাবা
“ব্যস্ততার কারণে যেসব সিনেমা দেখা হয়নি সেসব দেখে ফেলব ঈদের এই ছুটিতে। ঘোরাঘুরি তেমন নেই, সাজগোজও নেই”- এবারের ঈদের দিনের পরিকল্পনা জানালেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ।
কেমন কাটত ছেলেবেলার ঈদ প্রশ্নে নওশাবা বলেন, “ঈদের আগের দিন ভাইবোনরা মিলে বাসা গোছাতাম, মাকে সাহায্য করতাম। বাবা এই নিয়মটা করেছিলেন। এক বছর আগেও বাবা ছিলেন, এখন নেই। পুরনো সবকিছু মিস করছি।”
ঈদ সংখ্যা পড়েই ঈদ ফুরিয়ে যায় অমিতাভ রেজার
নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী ঈদের দিনটি কাটে বিভিন্ন পত্রিকার ঈদ সংখ্যা পড়ে।
“গত পাঁচ সাত বছর ধরে ঈদের দিনটি এভাবেই কেটেছে। যত ঈদ সংখ্যা বের হয় সব কিনি এবং সারাদিন এটার গল্প, ওইটার প্রবন্ধ পড়েই কেটে যায়। তবে যেহেতু আমি একা থাকি মায়ের সঙ্গে একবার দেখা করতে যাই বাড়িতে।”
ঈদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে আনন্দ পান এই নির্মাতা।
তিনি বলেন, “আমার গাড়ির ড্রাইভার, বাসায় সিকিউরিটি, বাসার হেল্প হ্যান্ড, তারা ঈদটা সুন্দর করতে পারছে কিনা, ছুটি দেওয়া থেকে শুরু করে ঈদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলোর যোগান দিতে পারছি কিনা, এটা ভেবেই ঈদ কাটে।”
কার বাসায় কী খাবেন, তালিকা করছেন এলিটা
ঈদে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন সংগীতশিল্পী এলিটা করিম।
এই পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি বলেন, “ ট্রেনের টিকেট আগেই কেটে হয়েছিল। চট্টগ্রামে আমার সব আত্মীয়স্বজনরা থাকেন। একটা লিস্ট করা হচ্ছে কখন কার বাসায় যাব, কি খাব।”
এলিটা বলেছেন ঈদের দিন তার গ্রামের বাড়িতে কাটবে।
“গ্রামের বাড়িতে যে সতেজ বাতাস, চারিদিকে সবুজ, পুকুর এগুলো দেখব আর উপভোগ করব।”
ছোটবেলা-বড়বেলার ঈদের পার্থক্যের কথা তুরে ধরে এলিটা বলেন, “ছোটবেলার ঈদে কোনো দায়িত্ব ছিল না শুধু মজা আর মজা। প্রচুর ঈদী পেতাম। সবার কাছ থেকে ঈদের গিফট পাওয়া, নতুন কাপড় পরার যে মজাটা, ওটা বড় হয়ে আর পাইনি৷ এখন ঈদী দিতে হয়, গিফট দিতে হয়। অনেক দায়িত্ববোধ থাকে। ছোটবেলায় ঈদের আগে স্কুল ছুটি হলেই ঈদের মজা শুরু হত। এখন দেখা যায় যে, ঈদের ঠিক আগের দিনও অফিসের ছোট ছোট কাজ রয়ে যায়। সেগুলো করতে হয়। অফিস না থাকলেও গানের কাজ হতে পারে, লেখার কাজ হতে পারে। সেগুলো শেষ করে ঈদ শুরু হয়।”
সিনেমা নিয়ে টেনশনে রোশান
বিগত কয়েক বছরের ঈদ উৎসবে দুটি করে সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে তরুণ অভিনেতা জিয়াউল রোশানের। গত বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পায় তার অভিনীত ‘পাপ’ ও ‘জ্বীন’। এবারের ঈদে মুক্তি পাচ্ছে ‘মায়া: দ্য লাভ’ ও ‘ডেডবডি’ সিনেমা। এই দুইটি সিনেমা নিয়েই ঈদ কাটবে এই অভিনেতার।
রোশান বলেন, “যখন সিনেমা থাকে না তখন ঈদের দিনটি পরিবারের সঙ্গেই কাটানো হয়। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা হওয়া, আড্ডা দেওয়া। এবার তো আমার দুটি সিনেমা রিলিজ পাবে। শিল্পী হিসেবে এবার ঈদের কৌতুহল কাজ করবে এই সিনেমা দুটি নিয়েই। হলে গিয়ে সিনেমা দেখা, দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখার অপেক্ষা, কেমন যাচ্ছে আমি কেমন কাজ করলাম এসব নিয়ে ঈদ করব আশা করছি।”