গৌতম বেরির সেটে প্রোডাকশন বয় হিসাবে কাজ পর্যন্ত করেছিলেন অভিষেক।
Published : 29 Dec 2023, 08:35 PM
বলিউডের বচ্চন পরিবার মানেই খ্যাতি-সাফল্য-অর্থবিত্ত এবং প্রাসাদতুল্য বাড়ির বিলাসী জীবন। কিন্তু এই ছবির আড়ালে অন্য জীবনও কাটাতে হয়েছে অমিতাভ বচ্চন আর পরিবারের সদস্যদের।
অমিতাভের দেনার দায়ে এক সময়ে প্রায় পথে বসতে হয়েছিল বলিউড শাসন করা এই পরিবারকে। এমনকি কলেজ ছেড়ে দিয়ে সিনেমার শুটিং সেটে প্রোডাকশন বয় হয়ে মানুষের হাতে হাতে চা তুলে দিতে হয়েছে অমিতাভপুত্র অভিষেককে।
বচ্চন পরিবারে হাড়ির এই খবর লিখেছে হিন্দুস্তান টাইমস। এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক তুলে ধরেছেন তার অল্প বয়সের সংগ্রামের কথা।
অভিষেক জানান, তার বাবা একসময়ে ধারদেনা করে প্রযোজনা সংস্থা খুলেছিলেন। তখন অভিষেক বিদেশে লেখাপড়া করছিলেন।
কিন্তু সেই সংস্থা লাভের মুখ না দেখায় নিদারুণ অর্থকষ্টে পড়েন অমিতাভ। বিদেশে রেখে ছেলেকে পড়াশোনা করানো অমিতাভের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পড়াশোনায় জলাঞ্জলি দিয়ে দেশে ফেরেন অভিষেক।
তিনি বলেন, “আমি কলেজ ছেড়ে দেশে ফিরে আসি। বাবা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। বাবার সময় এত খারাপ যাচ্ছিল, ব্যবসা চলল না। আমার লেখাপড়া চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। আমারও মনে হয়েছিল এই সময়ে বাবার পাশে থাকা উচিত।"
দেশে ফিরে কী করেছিলেন, তা জানিয়ে অভিষেক বলেন, "পরিচালক গৌতম বেরির সেটে প্রোডাকশন বয়ের কাজ নিই। চা বানাতাম। সবাইকে নাশতা দিতাম। অন্য কাজও ছিল।"
অভিষেক সাক্ষাৎকারে বলেন, সে সময় ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের সময় এসে যায়।
"ওই আসর ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বিরাট ঘটনা। সিনেমা জগতের সবাই হাজির হত। আগে থেকে বিরাট তোড়জোড় শুরু হত।"
কিন্তু সে সময় নতুন পোশাক বানানোর জন্য হাতে টাকা ছিল না জানিয়ে অভিষেক বলেন, বাধ্য হয়ে দিদি শ্বেতা বচ্চনের বিয়ের সময়ে বানানো শেরওয়ানি পরেই ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে গিয়েছিলেন তিনি।
২০০০ সালে ‘রিফিউজি’ সিনেমা দিয়ে অভিনেতা হিসাবে অভিষেক হয় জুনিয়র বচ্চনের।
এই নায়কের ক্যারিয়ারে ‘গুরু’, ‘বান্টি অউর বাবলি’, ‘ধুম’, ‘লগা চুনরি মে দাগ’, ‘রাবণ’সহ আরও অনেক সিনেমা জনপ্রিয়তা পায় দর্শক মহলে। চলতি বছরে অভিষেকের ‘ঘুমর’ সিনেমা দারুণ জনপ্রিয় হয়।