ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘মহানায়ক’ পুরস্কার পাওয়া নায়ক দীপক অধিকারী দেব পর্দায় মহানায়ক উত্তম কুমার হয়ে ধরা দেবেন আগামীতে। তাই কিংবদন্তী নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের 'নায়ক' সিনেমার স্বত্ব কিনছেন এই নায়ক।
তবে স্বত্ব কিনলেও এখনই সিনেমাটি নতুন করে তৈরির কাজে হাত দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান দেব।
গত জুলাইয়ে খবর এসেছিল সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ সিনেমার আদলে নতুন একটি সিনেমা আসতে চলেছে, আর তাতে উত্তম কুমারের চরিত্রে অভিনয় করবেন দেব।
আরও বলা হয়েছিল, পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায় ‘নায়ক’ তৈরি করবেন। তবে ‘নায়ক’ ঠিক কথাকথিত ‘রিমেক’ হবে না। সিনেমার মূলভাবনায় হাত না দিয়ে নতুন গল্প সাজানো হবে। সত্যজিৎপু্ত্র সন্দীপ রায় এর মাঝে দেবের সঙ্গে একদফা কথাবার্তাও বলেছেন সিনেমা নিয়ে।
এবার হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, 'নায়ক' সিনেমার স্বত্ব কিনে নিচ্ছেন দেব।
তিনি বলেন, “এখনও কোনো সইসাবুদ হয়নি, তবে বাবুদা (সন্দীপ রায়) মুখে সম্মতি দিয়েছেন। ওটাই যথেষ্ট আমার কাছে।”
সিনেমার কাজ শুরুর ঘোষণা শিগগিরই আসছে কিনা, প্রশ্নে দেবের উত্তর, “স্বত্ব কিনছি মানে এখনই হচ্ছে না ছবিটি। নায়ক এমন একটা প্রজেক্ট যা দীর্ঘকালীন পরিকল্পনা করে এগোতে হয়। আগামীতে হবে এই কাজটা, তাই স্বত্ব কিনে রাখলাম।”
চলতি বছর মুক্তি পেয়েছে দেবের ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’, ‘বাঘাযতীন’; আর বড়দিনে মুক্তি পাবে ‘প্রধান’। এছাড়া সৃজিত মুখার্জির নতুন একটি সিনেমাতেও দেব থাকছেন বলে জানিয়েছেন কদিন আগে।
সত্যজিৎ রায়ের ‘নায়ক’ মুক্তি পায় ১৯৬৬ সালে, যে সিনেমায় নির্মাতা ফাঁস করেছিলেন একজন নায়ক- সুপারস্টারের ভেতরের জগৎ। প্রশংসা, গ্ল্যামার, ব্যস্ততার আড়ালে তারকাজীবনের অন্তরালের যাতনা দর্শকের সামনে তুলে ধরেন সত্যজিৎ।
সিনেমায় উত্তম কুমার হয়েছিলেন একজন সুপারস্টার, যার নাম অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। যিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার নিতে রওনা হন রেলগাড়িতে, কারণ বিমানের টিকেট পাননি। কামরায় পরিচয় হয় অদিতি সেনগুপ্ত নামের এক নারীর সাংবাদিকের সঙ্গে, যে চরিত্র করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর।
সত্যজিতের ‘নায়ক’ ১৯৬৬ সালে বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জিতেছিল একাধিক পুরস্কার। ‘স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ডের’ পাশাপাশি ‘শ্রেষ্ঠ ফিচার ফিল্ম’ এবং ‘শ্রেষ্ঠ কাহিনী ও চিত্রনাট্য’ বিভাগেও পুরস্কার জেতে। এছাড়া পরের বছর ভারতেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় সিনেমাটি।