Published : 18 Nov 2023, 12:23 PM
বলিউডে বচ্চন পরিবারের সাম্প্রতিক তিক্ততা প্রকাশ পাচ্ছে নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে। এরমধ্যে একটি ঘটনা হল, ছেলের ঘরের একমাত্র নাতনির জন্মদিন গেলেও শুভেচ্ছা জানাননি হিন্দি সিনেমার মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন।
সোশাল মিডিয়ায় নিজের ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি করেন অমিতাভ। আলোচিত ঘটনা, খেলাধুলা, কোনো সিনেমা বা সহশিল্পী- অনুজ এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিয়মিত পোস্টও দেন বিগ বি। কিন্তু গত ১৬ নভেম্বর নাতনি আরাধ্যা বচ্চনের জন্মদিনে তাকে নিয়ে কোনো পোস্ট বা ছবি শেয়ার করেননি দাদু অমিতাভ।
এছাড়া আরাধ্যার জন্মদিনে তার বাবা ও মা আলাদা আলাদাভাবে সোশাল মিডিয়ায় যে পোস্ট করেছেন, তাতেও চুপ থেকেছেন অমিতাভ, জয়া, শ্বেতা এবং তার ছেলেমেয়ারা।
এর আগের বছরের জন্মদিনেও আরাধ্যাকে আশীর্বাদে ভরিয়ে দিয়েছিলেন অমিতাভ। উপচে উঠেছিল নাতনির জন্য অমিতাভের দেওয়া উপহারের ডালি। কিন্তু এবারে পরিস্থিতি ভিন্ন।
অমিতাভ ও তার পরিবারের সদস্যদের এই ধরনের আচরণ ঘিরে সংসারের ভেতরের তিক্ততা খোঁজার চেষ্টা করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
সংবাদ প্রতিদিন বলছে, পুত্রবধূ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে বচ্চনদের। চলতি মাসের প্রথম দিন নিজের ৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের যে ছবি পোস্ট করেছিলেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী, সেখানে তার পাশে স্বামী অভিষেক বা শ্বশুর বাড়ির কাউকে দেখা দেখা যায়নি। কেবল মেয়ে আরাধ্যা বচ্চন ও মা বৃন্দা রাইকে পাশে নিয়ে নিজের ওই বিশেষ দিনটি উদযাপন করেছিলেন ঐশ্বরিয়া।
সোশাল মিডিয়ায় আসা ঐশ্বরিয়ার জন্মদিনের ওই ছবিতে কিছুটা 'দায়সারা' গোছের শুভেচ্ছা বার্তা লিখেছিলেন অভিষেক। আর ছবির নিচে অমিতাভ, জয়া বা শ্বেতা কিছু লেখেননি। এবার আরাধ্যার জন্যেও সেই একই ব্যবহার দেখা গেল বচ্চন পরিবার থেকে।
এর মধ্যে ১২ নভেম্বর দীপাবলীর দিন বাড়ির পূজায় উপস্থিত না থেকে মেয়েকে নিয়ে মুম্বাই ছাড়তে দেখা যায় ঐশ্বরিয়াকে।
বলিউডের অন্যতম সুখী তারকা দম্পতি হিসেবে নাম আছে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার। ২০০৭ সালে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেছিলেন তারা।
তবে তাদের প্রেমের শুরুটা হয়েছিল কিন্তু আরও আগেই। ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘উমরাও জান’ সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। এই জুটির বাস্তব জীবনের ভালোবাসার গল্পের শুরুটা হয়েছিল ‘উমরাও জান' সিনেমার সেট থেকেই। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়ায় মুগ্ধ হয়েছিলেন অভিষেক। দুই অভিনয় শিল্পীর প্রেমের কথা জানাজানি হলে, ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে ঐশ্বরিয়াকে পুত্রবধূ করে নেন অমিতাভ ও জয়া।