শোক সংগীত পরিবেশন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংগীত বিভাগের শিল্পীরা।
Published : 15 Aug 2024, 09:42 PM
মৌলবাদমুক্ত, অসাম্প্রদায়িক, সাম্যবাদী, দুর্নীতিমুক্ত ও সুখি-সুন্দর দেশ গঠনের জন্য বঙ্গবন্ধুসহ লাখো বীর মুক্তিযোদ্ধা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সে স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি বলে মনে করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।
তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শকে ধারণ করে দেশ পরিচালনায়ই আওয়ামী লীগের জন্য সঠিক কাজ হতো। কিন্তু তা না করে, তারা সাধারণ মানুষের কণ্ঠরোধ করেছে, ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।”
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করার দিনে আলোচনা সভা আয়োজন করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। বিকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীতে উদীচী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হয় এ সভা।
শুরুতে ১৫ অগাস্ট নিহতদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। শোক সংগীত পরিবেশন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংগীত বিভাগের শিল্পীরা।
আলোচনা পর্বে অমিত রঞ্জন দে বলেন, “শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী শাসনের কারণে বঙ্গবন্ধুর অবদানকে অস্বীকার করতে শুরু করেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। বিভিন্ন জায়গায় তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করছে, জাদুঘর পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।”
শেখ মুজিবুর রহমানকে অহেতুক হাজারো বিশেষণে বিশেষায়িত করে তাকে জনতার কাছ থেকে অনেক দূরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে; এসব কারণেই একটি মহল বঙ্গবন্ধুকে অশ্রদ্ধা করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
উদীচীর সাধারণ সম্পাদক বলেন, "সারা দেশ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, ঐতিহ্যের ধারক সমস্ত ভাস্কর্য, স্থাপনা ধ্বংস করা হচ্ছে, ভেঙেচুরে গুড়িয়ে দিচ্ছে একটা মহল, যা জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। এর সাথে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নেতৃদানকারী ছাত্রনেতারা যুক্ত নেই। যারা এই ন্যক্কারজনক কাজ করেছে, তাদেরকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই।"
জামশেদ আনোয়ার তপন বলেন, “বঙ্গবন্ধুর নিজের দল আওয়ামী লীগ প্রায় ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকলেও দেশ থেকে দুর্নীতি দূর হয়নি, বরং তা বেড়েছে বহু গুণে। লুটেরা, মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি ছিল দেশের কোটি মানুষ।”
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি হাবিবুল আলম, শিবানী ভট্টাচার্য, প্রবীর সরদার, নিবাস দে, সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম, কোষাধ্যক্ষ বিমল মজুমদার, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য আরিফ নূর, শিখা সেনগুপ্তা, কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য নাজমুল আজাদ ও আজমীর তারেক চৌধুরী এবং নাজমুল হক বাবু, সৈয়দা রত্না, বিপ্লব আল মামুন বক্তব্য রাখেন।