সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল ২০২২ সালে। গাজীপুরের খতিব খামার বাড়িতে শুটিং করেছি। তিনদিনের শুটিং ছিল সেখানে।
Published : 28 Apr 2024, 11:19 PM
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘শিরিনের একাত্তর যাত্রা’ সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে।
সরকারি অনুদানের সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক দীপক চৌধুরী। এর গল্প, সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালকের নিজেই।
ছাড়পত্রের খবর জানিয়ে নির্মাতা দীপক গ্লিটজকে বলেন, “এপ্রিলের শুরুতেই ‘শিরিনের একাত্তর যাত্রা’ সিনেমাটি সেন্সরবোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েছে। তবে এটি বড়পর্দায় মুক্তি দেওয়া হবে না, টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে মুক্তি দেওয়া হবে। যেহেতু এটি মুক্তিযুদ্ধের গল্পের সিনেমা, তাই কোনো বিশেষ দিন দেখে খুব শিগগিরই মুক্তি পাবে।”
সিনেমার গল্প সম্পর্কে নির্মাতা বলেন, “গল্পটা ১৯৭১ সালের অগাস্ট মাসের। ওই সময় দেশজুড়ে হত্যা, গোলাগুলি, অগ্নিসংযোগ, আতঙ্ক। ওই আতঙ্কের মধ্যেই শহর থেকে প্রাণ বাঁচাতে গোপালপুর আসে ২২ বছর বয়সী মেডিকেল কলেজের ছাত্রী জয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সুমন ও জয়াদের বাসার গৃহকর্মী সুলেখাবু।
“কারণ এই গ্রামের বাসিন্দা জয়ার পূর্বপরিচিত মুনির সাহেব। তারই ভরসায় গ্রামে আশ্রয় নিতে আসে জয়ারা। একটা সময় জয়া জানতে পারে, মুনির আহমেদ শান্তি কমিটির নেতা। তার আদর্শ পাকিস্তানের পক্ষে, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে।”
অন্যদিকে তার একমাত্র কন্যা শিরিন স্বাধীনতা পক্ষে। সে চায় দেশের জন্য যুদ্ধ করতে, দেশ স্বাধীন করতে। কিন্তু বাবার চোখ ফাঁকি দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া তার জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। বাড়িতে আশ্রিত তিনজনসহ শিরিন মুক্তিযুদ্ধে চলে যায়। এই গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘শিরিনের একাত্তর যাত্রা’।
শিরিন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী লাবণ্য চৌধুরী।
সিনেমায় শিরিন চরিত্রের অভিজ্ঞতা জানিয়ে গ্লিটজকে লাবণ্য বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা খুবই ভালো ছিল। চরিত্রটি খুব সাহসী, শিরিনের বয়স খুব একটা বেশি না। সে মুক্তিযুদ্ধে যায় যেখানে তার বাবা একজন রাজাকার ছিল। রাজাকারের মেয়ে হিসেবে বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করা, যেটা বড় সাহসিকতার পরিচয় দিতে হয়েছিল।”
শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “সিনেমাটির শুটিং হয়েছিল ২০২২ সালে। গাজীপুরের খতিব খামার বাড়িতে শুটিং করেছি। তিনদিনের শুটিং ছিল সেখানে। পরিচালকের সঙ্গে প্রথম কাজ ছিল। তাছাড়া সিনেমায় আমার বাবা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, উনার সঙ্গেও প্রথম কাজ ছিল। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা ভালো ছিল।”
স্বল্পদৈর্ঘ্য এ চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ে আরও আছেন সাদমান, তাহমিনা অথৈ, শিরিন আলম, সাবিনা রনি, আমজাদ সুমন, মাস্টার তাফসীরসহ আরও অনেকে।
সিনেমার মুক্তির তারিখ নিয়ে নির্মাতা দীপক চৌধুরী কোনো তথ্য জানাননি।