দুজনের একাধিক ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারাও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
Published : 23 Jan 2024, 03:35 PM
চিত্রনায়িকা পরীমনি বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি পাঠিয়েছেন বলে যে খবর সংবাদমাধ্যমে এসেছে, সে বিষয়ে কিছু ‘জানেন না’ বলে দাবি করেছেন তার স্বামী শরিফুল রাজ।
সংক্ষিপ্ত উত্তরে গ্লিটজকে তিনি শুধু বলেছেন, পরীমনির তরফ থেকে বিবাহ বিচ্ছেদের কোনো চিঠি তিনি এখনও পাননি।
এ বিষয়ে কথা বলতে বুধবার পরীমনির ফোনে কয়েক দফা যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরীমনি ও শরিফুল রাজের একাধিক ঘনিষ্ঠজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারাও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পরীমনির ঘনিষ্ঠজন নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী গ্লিটজকে বলেন, “আমিও সংবাদ মাধ্যম থেকেই জেনেছি, একটু পর ওর বাসায় যাব। তখন ভালো বলতে পারব। তবে যারা নিউজ করেছে, তারা হয়ত জেনেই করেছে। আমার জানা নেই।”
এদিকে বুধবার সকাল থেকে ফেইসবুকে পরীমনির নামে একটি পোস্টের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে, যদিও তার ফেইসবুকে এ ধরনের কোনো পোস্ট দেখা যাচ্ছে না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই পোস্টে লেখা হয়েছে– “ধরেন এই কাজটা আমি যদি করতাম। একজনকে ভাই পরিচয় দিয়ে তার বাসায় যাবতীয় জীনিসপত্র নিয়ে গিয়ে তার সাথে মাসের পর মাস পার করে দিতাম। কি বলতেন আমাকে তখন? আজ আমাকে রাজ এবং তার পাতানো বোন মিলে গায়ে হাত তুলেছে তার জবাব মিডিয়া দিতে পারবেন তো? রাজ কার সাথে থাকে? সুগার মমি নাকি কোনো অনৈতিক ব্যবসায়িক চক্র? কি চলে …. তাদের ওই বাসা নামক অপকর্মের আস্তানায়? প্রশাসন, মিডিয়া যারা আছেন বের করেন এবার! অনেক কথা বলার বাকি! এতো চুপ থাকা যায় না।”
ওই ফেইসবুক পোস্ট পরীমণির কিনা, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি গ্লিটজ।
সংবাদ মাধ্যমে আসা খবরে বলা হচ্ছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শরিফুল রাজকে ডিভোর্সের চিঠি পাঠিয়েছেন পরীমনি। সেই তালাকনামার একটি ছবিও ফেইসবুকে এসেছে।
সেখানে ডিভোর্সের চারটি কারণ বলা হয়েছে– মনের অমিল হওয়া, বনিবনা না হওয়া, খোঁজ খবর না নেওয়া এবং মানসিক অশান্তি। তবে তালাকনামার ওই ছবির সত্যাসত্য গ্লিটজ যাচাই করতে পারেনি।
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, ডিভোর্স লেটার পাঠানোর সাথে সাথেই তা কার্যকর হয় না। ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী তালাক দিতে চাইলে একজন ব্যক্তিকে তিন দফায় আইনি পত্র পাঠাতে হয়। প্রতি ৩০ দিনের ব্যবধানে একেকটি চিঠি পাঠাতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যে কোনো সমঝোতা না হলে তালাক কার্যকর হয়।
সব কটি দফায় স্বামী বা স্ত্রী যাকে সেটি পাঠানো হবে, তার ঠিকানার সাথে স্বামী বা স্ত্রী যে এলাকায় বসবাস করেন সেখানকার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বা সিটি কর্পোরেশন মেয়র বা কাউন্সিলরকে লিখিতভাবে তালাকের নোটিসের কপি পাঠাতে হয়।
এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বা সিটি কর্পোরেশন মেয়র বা কাউন্সিলর দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসতে পারেন।
নড়াইলের মেয়ে শামসুন্নাহার স্মৃতি পরীমনি নাম নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েই তারকা বনে গিয়েছিলেন। ২০১৩ সালে প্রথম সিনেমা ‘ভালোবাসা সীমাহীন’ মুক্তির আগেই অন্তত ২০টি চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তোলেন আলোড়ন। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত গুণিন সিনেমার শুটিংয়ে প্রেম ও প্রণয় পরী–রাজ জুটির।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে পরীমনির সন্তানসম্ভবা হওয়ার খবর জানানোর সঙ্গে তার সঙ্গে বিয়ের খবরটিও জানিয়েছিলেন অভিনেতা শরিফুল রাজ। পরীমনিও সে সময় জানান, তিনি মা হতে চলেছেন। সন্তানের বাবা অভিনেতা শরিফুল রাজ। ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর পারিবারিক আয়োজনে তাদের বিয়ের খবর দেন তারা। ২০২২ সালের ১০ আগস্ট তাদের পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)