গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে সোশাল মিডিয়া সরব হলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী জয়া আহসান।
রোববার সকালে ফিলিস্তিনে হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফেইসবুকে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী।
জয়া লিখেছেন, “ফিলিস্তিনের ছবি দেখছি অনলাইনে, খবরের কাগজে, টেলিভিশনের পর্দায়। বোমা ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষজনের ওপর; আক্রমণ চলছে হাসপাতালেও। একটি ছবিতে দেখেছিলাম পরিবারের সবাই মারা পড়েছেন, আর সবার লাশের সামনে বসে আছেন বেঁচে যাওয়া একজন মাত্র মানুষ।
“এ পর্যন্ত এগারো হাজার হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে শিশু মারা গেছে চার হাজারের বেশি।”
সব কিছু দেখে অসহায়ত্ব আর বিষণ্ণতায় ভোগার কথা জানিয়ে অভিনেত্রী লিখেছেন, “এসব দেখেশুনে মনটা ভেঙে যায়। আবার মনটাকে সরিয়ে কাজে নেমে পড়ি। নতুন মুক্তি পাওয়া ছবির প্রচারে যাচ্ছি, যোগ দিচ্ছি পুরস্কারের অনুষ্ঠানে, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর জন্য মনে অপরাধ–অপরাধও লাগে।
“আমার বা আমাদের জীবন তো চলছে, কিন্তু ওদের জীবন তো প্রতিটা মুহূর্তে মৃত্যুর মুখোমুখি। তাদের অসহায়তা দেখে গলাটা বুঁজে আসে।”
তবে‘সুদিন’ ফিরবে, এই প্রত্যয়ে জয়া লিখেছেন, “এই হত্যাকাণ্ড থামুক। শিশুরা খেলা করুক রোদেলা মাঠে, খেজুর গাছের নিচে। নিজের দেশে দেশছাড়া এই মানুষগুলো নিজেদের ঘরে ফিরুক। ওদের বাঁচানোর জন্য পৃথিবীর বড় বড় মানুষেরা কি এক হতে পারেন না? এটা কি খুব বড় প্রত্যাশা?”
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে নজিরবিহীন আক্রমণ চালায়। ওই আক্রমণে ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়; হামাস যোদ্ধারা ২৪০ জনকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রাখে।
এর প্রতিক্রিয়া হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকেই গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা সেই হামলায় সাড়ে ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
গাজার চারদিকে এখন শুধু ধ্বংসস্তুপ। হাসপাতালগুলোতে নিহত ও আহতদের স্বজনের আহাজারি। স্কুল, মসজিদ বা অ্যাম্বুলেন্স কোনও কিছুই হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না। গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফাকে ‘মৃত্যুপুরি’ আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।