কেবল রূপের ঝলক দিয়ে নয়, বরং প্রতিটি ধাপে মেধার প্রমাণ দিয়েই সেরার মুকুট মাথায় তুলেছেন বলে দাবী করলেন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার নাদিয়া আফরিন মিম। আরও বলছেন, এখনও যে কোনো কাজ পেতে হলে নিজেকে তার যোগ্য প্রমাণ করতে হয় তাকে।
Published : 29 Apr 2015, 02:48 PM
সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনের সেটে কথা হল নাদিয়ার সঙ্গে। নাদিয়া বলছেন, “হুট করেই আমি সুপারস্টার হয়ে যাইনি। প্রতিযোগিতাটি একটি প্ল্যাটফর্ম, এখানে সবাই নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পায়। সেখানেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে যোগ্যতা প্রমাণ করে আমি সুপারস্টার খেতাবটি অর্জন করেছি। সৌন্দর্য্যের পরীক্ষার পাশাপাশি মেধার প্রমাণও দিতে হয়েছে।
আর এখনও নতুন কোনো কাজ পেতে হলে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয় আমাকে।”
লাক্স সুপারস্টার থেকে নায়িকা হওয়ার অভিযান মোটেই সহজ নয় বলেও জানালেন।
“নায়িকা হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। লোকে বললো ‘ও তো নায়িকা’, আর অমনি নায়িকা খেতাব পেয় গেলাম আমি এমন মনে করি না। নায়িকা হতে গেলে অনেক কষ্ট, পরিশ্রম করতে হয়। অনেক অধ্যবসায়, সাধনার পর তবেই নায়িকা হয়ে উঠা যায়।”
আর সে কারণেই কাজ ও চরিত্র বাছাইয়ের ব্যাপারটিতে ভীষণ গুরুত্ব দিচ্ছেন এই নবাগতা।
সহ-অভিনেতা প্রসঙ্গে নাদিয়া বলছেন, “সহ-অভিনেতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমার কদিনের ক্যারিয়ারে আজিজুল হাকিম, চঞ্চল চৌধুরীর মতো অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সিনিয়রদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমি সত্যিই ভীষণ সহযোগিতা পেয়েছি। তারা আমাকে অভিনয়ের নানা দিক নিয়ে বলেছেন। নিজের ভেতর থেকে কি করে অভিনয়কে বের করে আনতে হয়, তারা আমাকে সে কৌশলগুলোও বলেছেন। সিনিরয় হোক বা জুনিয়র, অভিনেতারা যখন বন্ধু হয়ে ওঠেন তখন কাজ করতে খুব সুবিধা হয়।”
নাদিয়া এখন অভিনয় করছেন গোলাম মুক্তাদির পরিচালিত ‘অপূ্র্বা’ ধারাবাহিকে। মাছরাঙা টেলিভিশনের এই ধারাবাহিকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রাণোচ্ছল তরুণীর ভূুমিকায় অভিনয় করছেন।
দর্শক টিভি নাটক দেখছে না বলে অনুযোগও করলেন নাদিয়া।
“দর্শকরা সমস্বরে বলছে, টিভি নাটক আগের মতো নেই। আমি তাদের বলবো, আগে তো নাটক দেখুন। তারপর ভালোমন্দ যাচাই বাছাই করুন। আমাদের দর্শকরা পার্শ্ববর্তী দেশের টিভি চ্যানেলগুলোতে এমনভবে বুঁদ হয়ে আছেন, তারা আমাদের ভালো কাজগুলোও দেখছেন না। ”
চলচ্চিত্র নিয়ে এখনই ভাবছেন না নাদিয়া। চলচ্চিত্রে এলেও বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে কাজ করতে চান না তিনি।
লাক্স-সুপারস্টার হওয়ার পরও জীবনধারায় খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি তার। ছুটির দুপুরে এখনও বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দেন। ঘুরে বেড়ান শহরজুড়ে।