‘ভাত চাই? শ্রীলেখা মাসিকে কল করুন’ তারপর কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য।
Published : 01 May 2021, 07:07 PM
করোনা-মহামারীর সময়ে ভুক্তভোগীদের সাহায্য করতে শ্রীলেখাসহ কলকাতার শিল্পীরা নানানভাবে এগিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন।
সেই সূত্র ধরেই, শনিবার সুজন সেন নামের ফেইসবুক আইডি থেকে কলকাতার অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের ফোন নম্বর ফাঁস করে পোস্টে লেখা হয় ‘ভাত চাই? শ্রীলেখা মাসিকে কল করুন’।
তারপর কুরুচি পূর্ণ মন্তব্য জুড়ে লেখা হয়, “তার রেট কত? একজনের সঙ্গে কত, দুজনের সঙ্গে কত?”
শ্রীলেখা মিত্র সেই পোস্টটি নিজের ফেইসবুকে শেয়ার করে ‘কলকাতা সাইবার ক্রাইম বিভাগে’র দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেই সঙ্গে জবাবে ওই পোস্টদাতাকে ‘বোনপো’ সম্বোধন করে উত্তরে লেখেন,
“শুধু ভাত কেন? কোভিড সংক্রান্ত যে কোনও প্রয়োজনে সাধ্য মতো সাহায্য করতে রাজি।”
তিনি আরও লেখেন “তুমি তৃণমূল না বিজেপি? মানে বোঝার চেষ্টা করছি কার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে এই ভাষায় আমার সম্পর্কে লিখলে?”
বাম সমর্থক এই অভিনেত্রী ফোন নম্বর ফাঁস হওয়ার ঘটনাকে ‘বুদ্ধিদীপ্ত বদমায়েশি’ উল্লেখ করে আনন্দবাজার ডটকম’কে বলেন, “যিনিই কাজটি করে থাকুন তিনি বুঝেছেন কাজের ছুতোয় তারকাদের দলবদল বা রাজনীতিতে যোগদান সাধারণের কাছে প্রচণ্ড হাস্যকর। কেউ এই যুক্তি বিশ্বাস করেনি। তাই এই ধরনের পোস্ট নেটমাধ্যমে শেয়ার হতেই ভাইরাল।”
এদিকে শ্রীলেখার উদ্দেশে করা কুমন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিজেপি নেত্রী অভিনেত্রী রূপা ভট্টাচার্য।
ফেইসবুকে তিনি লেখেন, “এই ধরনের মানুষ সব রাজনৈতিক দলে থাকে আর এদের জন্য বাকিদের বদনাম হয়। এদের মতো মানুষকে দল নির্বিশেষে পরিত্যাগ করা উচিত। আমি অন্তত তাই করি। করবও। আমি তীব্র নিন্দা করছি।”
এই লেখার সূত্র ধরে ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেস’কে তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি না কোনো দল এসব সমর্থন করে। এই ধরনের কুমন্তব্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতপ্রকাশ। সব দল এই ধরনের লোকের জন্য ভুক্তভোগী।”
শুধু শ্রীলেখা মিত্রের নয়, কলকাতার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশ- সপ্তম দফার নির্বাচনের দিন নেটমাধ্যমে ফাঁস করা হয় রাজ চক্রবর্তী, কাঞ্চন মল্লিক, জুন মাল্য, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, যশ দাশগুপ্ত, বাবুল সুপ্রিয়, রুদ্রনীল ঘোষ, পার্নো মিত্রদের নম্বর।
পোস্টে লেখা ছিল, “করোনায় ভয় কিসের? আপনার পাশে আছে কাজ করার জন্য প্রাণ আনচান করা নেতারা! মাস্ক, স্যানিটাইজার, রক্ত, অক্সিজেন, অ্যাম্বুল্যান্সের জন্য এক্ষুনি ফোন করুন…।”
আর এই পোস্ট ধরে যথারীতি দুভাগ হয়ে যায় নেটমাধ্যমের নাগরিকরা। কারও মন্তব্য তারা তো সাহায্য করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। সেক্ষেত্রে ফোন নম্বর থাকলে তো যে কেউ সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে।
আরেক দল বলছে, সাহায্য করার উদ্দেশ্যে নয়, হয়রানির করার জন্যই এইসব পোস্ট করা হচ্ছে। কারও ব্যক্তিগত নম্বর অনুমতি ছাড়া প্রকাশ করা অনুচিত।
উল্লেখ্য প্রথমে যাদের নম্বর প্রকাশ করা হয়েছিল, তারা সবাই বিজেপি এবং তৃণমূলের সমর্থক। যেকারণে অন্যান্য দলের সমর্থক শিল্পীরা অনেকেই এটা বামদলের কাজ হিসেবে চিহ্নিত করছিল।
তবে এবার বাম সমর্থক শ্রীলেখা মিত্রের নম্বরও ফাঁস হল।