বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা পড়েছে নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেলের চলচ্চিত্র ‘রূপসা নদীর বাঁকে’, ডিসেম্বরে ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন নির্মাতা।
Published : 12 Nov 2020, 08:02 PM
২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের পাওয়া সরকারি অনুদানের পাশাপাশি গণঅর্থায়নে নির্মিত এ চলচ্চিত্রের কাহিনী গড়ে উঠেছে একজন ত্যাগী বামপন্থি নেতাকে ঘিরে, যাকে ১৯৭১ সালে রাজাকাররা হত্যা করে।
নির্মাতা জানান, ছবিটি ইতোমধ্যে সেন্সর বোর্ডে জমা দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরে ছবিটি মুক্তি দিতে চাই আমরা।
পরিচালনার পাশাপাশি ছবিটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তানভীর মোকাম্মেল।
এ চলচ্চিত্রে তিরিশ দশকের স্বদেশী আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, রাজশাহী জেলের খাপড়া ওয়ার্ডে কমিউনিস্টদের হত্যার ঘটনাগুলো একজন বিপ্লবীর জীবনের প্রেক্ষিতে তুলে আনা হবে।
বাম আন্দোলনের এক সময়ের সংগঠক তানভীর মোকাম্মেল বলেন, “দেশে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজপ্রগতির আন্দোলনে বামপন্থিদের অনেক ভূমিকা ছিল। কিন্তু তাদের কথা কেউ তেমন বলে না। কিছু কিছু বামপন্থি নেতার ত্যাগ-তিতীক্ষা ও সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল প্রবাদতুল্য।
“ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে এরা কেউ কেউ বিশ-পঁচিশ বছর জেল খেটেছেন। এ ধরনের কিছু পুরনো বামপন্থি নেতাকে আমি কাছ থেকে দেখেছি। তাদেরই একজনের কাহিনি এটি। এ মানুষটিকে ১৯৭১ সালে রাজাকাররা গুলি করে মেরে ফেলে।”
বিভিন্ন বয়সে সেই বামপন্থি নেতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান শোভন, খায়রুল আলম সবুজ ও তওসিফ সাদমান তূর্য। এতে একজন পুলিশ সুপারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ব্রিটিশ অভিনেতা অ্যান্ড্রু জোনস।
নাজিবা বাশার, রামেন্দু মজুমদার, আতাউর রহমান, চিত্রলেখা গুহ, কেরামত মওলা, ঝুনা চৌধুরী, আফজাল কবির, মাসুম বাশার, বৈশাখী ঘোষ, ইকবাল আহমেদসহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন।
খুলনার বৈঠাঘাটা ও ফুলতলা উপজেলার গ্রামাঞ্চলে, দৌলতপুর স্টেশনে এবং কুমিল্লায় ছবিটির শুটিং হয়েছে।
চিত্রগ্রহণে ছিলেন দশবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত প্রয়াত চিত্রগ্রাহক মাহফুজুর রহমান খান।
নির্মাতার সঙ্গে বাংলাদেশ ফিল্ম ইনস্টিটিউটের আটজন সাবেক শিক্ষার্থী চলচ্চিত্রটিতে নির্মাতার সহকারী হিসেবে কাজ করছেন।