ঈদ মানেই নতুন সিনেমা আর বক্স অফিস দখলের নতুন সমীকরন। আগস্ট মাস থেকে ঈদের সিনেমা হিসেবে কখনও পাঁচটি আবার কখনও চারটি সিনেমা মুক্তির গুঞ্জন ভেসে বেড়ালেও অবশেষে ঈদে মুক্তির জন্য পুরোপুরি প্রস্তত তিনটি সিনেমা-‘রক্ত’, ‘বসগিরি’ ও ‘শুটার’।
Published : 13 Sep 2016, 11:46 AM
এরমধ্যে দেশীয় প্রযোজনায় র্নিমিত সিনেমা রয়েছে দুটি। রাজু চৌধুরীর ‘শুটার’ ও শামিম আহমেদ রনির ‘বসগিরি’। দুটি সিনেমাতেই অভিনয় করেছেন শাকিব খান। তার সঙ্গে জুটি বেঁধে এই দুই সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষিক্ত হচ্ছেন একসময়ের সংবাদ পাঠিকা শবনম বুবলি।
অন্যদিকে যৌথ প্রযোজনায় মুক্তি পাচ্ছে পরীমণি অভিনীত ‘রক্ত’ সিনেমাটি।
শাকিব খানের দাপটি দর্শকরা পরীমুখী হবেন কিনা জানতে চাইলে গ্লিটজকে তিনি বলেন, “‘বসগিরি’ ও ‘শুটার’ সিনেমা দুটো তো ‘রক্ত’ সিনেমা নয়, সেই সিনেমাগুলোর চরিত্রটির নাম সানিয়াও নয়। সেই সিনেমাগুলোর তাদের নিজের সিনেমার মতোই চলবে। সেই সিনেমাগুলোর জন্য মন থেকে দোয়া করছি, যেন ওগুলো ভালো ব্যবসা করে। তবে ‘রক্ত’ সিনেমা রক্তের মতো করেই এগিয়ে যাবে।”
ওদিকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন নবাগত হিসেবে ঈদে দুটো সিনেমা নিয়ে অভিষিক্ত হচ্ছেন শবনম বুবলি। যদিও তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছে ক্যারিয়্যারের শুরু থেকেই আলোচিত নায়িকা পরীমণি, কিন্তু তারপরেও বক্সঅফিসের লড়াই নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন আত্নবিশ্বাসী এই অভিনেত্রী।
‘রক্ত’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ঢাকাই সিনেমায় অভিষিক্ত হচ্ছেন রোশান। শুধু তাই নয়, ক্যারিয়্যারের শুরুতেই বক্স অফিসে তাকে নামতে হচ্ছে তারকা অভিনেতা শাকিব খানের সঙ্গে লড়াইয়ে। তবে এ নিয়ে নবাগত নায়িকা বুবলির মতোই মোটেও চিন্তিত নন রোশান।
গ্লিটজকে তিনি বলেন, “আমি কখনোই শাকিব খানকে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চিন্তা করি না। আমি নিজে শাকিব খানের একজন ভক্ত। আমি তাকে বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা করি। ঈদে সময় বের করতে পারলে আমি তার দুটো সিনেমাই দেখতে যাবো। কারণ আমি তো জুনিয়র শিল্পী, তাই বলতে গেলে এখনোও অনেক কিছুই জানি না। শেখার অনেক কিছুই আছে। আমি বড় ভাইয়ের (শাকিব খান) কাছ থেকে শিখবো। তবে আমাদের সিনেমা ভালো হয়েছে আমি শুধু সেটাই জানি এবং সুপারহিট হবে আমি সেটাই আশা করি।”
অন্যদিকে ওয়াজেদ আলী সুমনের ‘রক্ত’ সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া ও এসকে মুভিজ। ‘রক্ত’ সিনেমায় জুটিবেধে অভিনয় করেছেন পরীমণি ও রোশান। এছাড়াও অমিত হাসান, আশীষ বিদ্যার্থী, বিপ্লব চ্যাটার্জি, সুব্রত প্রমুখ।
ঈদে সারাদেশে মুক্তিপ্রাপ্ত এই তিনটি সিনেমার মধ্যে প্রেক্ষাগৃহ বুকিংয়ের দিকে থেকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে ‘শুটার’। সারাদেশে ১৫৬টি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। এরপরেই ৯৩টি প্রেক্ষাগৃহে বুকিং দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘বসগিরি’ সিনেমাটি। আর ‘রক্ত’ সিনেমাটি সারাদেশের ৬৩টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। প্রেক্ষাগৃহ বুকিংয়ের সংখ্যার দিক থেকে দেশীয় প্রযোজনায় র্নিমিত সিনেমাগুলো এগিয়ে থাকলেও জনপ্রিয় প্রেক্ষাগৃহের সিংহভাগই রয়েছে জাজ মাল্টিমিডিয়ার দখলে।