নওয়াজউদ্দিন বলেছেন সাদাত মান্টো চরিত্রটার মধ্যে দিয়ে যেন অনেক কিছু বলতে চাওয়া হয়েছিল।
Published : 25 Nov 2023, 04:06 PM
বড় পর্দা থেকে ওটিটিতে নানা ধরনের চরিত্রে বিচরণ করা বলিউডের অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী বলেছেন, নেতিবাচক এবং সাধারণ মানুষের চরিত্রতেই অভিনয়ের জায়গা খুঁজে পান তিনি। এছাড়া পর্দায় কথাশিল্পী সাদাত মান্টো হয়ে ওঠার গল্পও শুনিয়েছেন এই অভিনেতা।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, সেই গল্পে উঠে আসে, নওয়াজউদ্দিনের নিজের গ্রাম ছাড়ার এক ঘটনা।
গোয়ায় চলছে ভারতের ৫৪ তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। সেখানে এক অনুষ্ঠানে মান্টোর চরিত্রে নিজেকে কীভাবে সঁপে দিয়েছিলেন প্রশ্নে নওয়াজউদ্দিন বলেছেন, 'নিচু জাতের বলে' তাকে জীবনে নানা কথা শুনতে হয়েছে, আর সেই কষ্ট-যন্ত্রণা তিনি মান্টোর ভাবনার সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলেন।
অভিনেতার কথায়, "আমি নিচু জাতের আর সেই জন্য আমি যখন গ্রামে থাকতাম তখন অনেক খোঁচা শুনেছি। একটা দীর্ঘ সময় এই বাঁকা কথাগুলোর সঙ্গে লড়াই করেছি, শেষ পর্যন্ত গ্রাম ছেড়ে চলে আসি। এরপর মুম্বাইতে যখন সেই কষ্ট নিয়ে আসি আমি তখনই এই চরিত্রটা পাই। সেই হীনমন্যতায় ভুগতে থাকার বিষয়টা এই চরিত্রে সঙ্গে যেন মিশে গিয়েছিল।"
উর্দু কথাশিল্পী সাদত হাসান মান্টোর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন নওয়াজউদ্দিন। অভিনেত্রী নন্দিতা দাসের পরিচালিত সেই সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন এই অভিনেতা।
নওয়াজউদ্দিন বলেছেন সাদাত মান্টো চরিত্রটার মধ্যে দিয়ে যেন অনেক কিছু বলতে চাওয়া হয়েছিল।
তার ভাষ্য, " মান্টোর গোটা জীবনটা একটা চেষ্টা ছিল। কোথাও গিয়ে এটা যেন আমার সঙ্গে মিশে গিয়েছিল।"
নওয়াজউদ্দিনের কাছে কাছে প্রশ্ন ছিল কেন বারবার নেতিবাচক চরিত্র বেছে নেন তিনি।
নওয়াজউদ্দিনের উত্তর, "আমার মনে হয় নেতিবাচকেই অভিনয়ের জায়গা বেশি।"
আগামীতে কেমন ধরনের চরিত্রে নিজেকে দেখতে চান- জবাবে এই বলিউড তারকা বলেন, "আমি সব সময় সাধারণ মানুষের চরিত্রে নিজেকে দেখতে চেয়েছি। এসব চরিত্রে একজন মানুষের অন্তর দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া আমি চাই, আরও জটিল ও ব্যতিক্রমী চরিত্র অন্বেষণ করতে।"
নওয়াজকে শেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে ‘জোগিরা সারা রা রা’ সিনেমায়। এই সিনেমাতে নায়কের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। একসময় সহঅভিনেতা হিসেবে অনেক কাজ করলেও এখন নওয়াজকে মূল নায়ক হিসেবেই পর্দায় বেশি দেখা যায়।