থিয়েটারের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুদানের এই অঙ্ক হবে ৫ লাখ টাকা, যা দুটি পর্বে আড়াই লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
Published : 16 Jul 2023, 05:07 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্বের শিক্ষার্থীদের নাট্য নির্মাণ ও গবেষণায় দেওয়া হবে ‘আলী যাকের গবেষণা অনুদান’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমণ্ডল মিলনায়তনের রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় এ বিষয়ে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ ও মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের জন্য অনুদানের এই অঙ্ক হবে ৫ লাখ টাকা, যা দুটি পর্বে আড়াই লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর মারা যান একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আলী যাকের।
তার স্মরণে সম্মাননা, বই পাঠ, নতুন নাটকের জন্য প্রণোদনাসহ নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় ও মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশন। এই ধারাবাহিকতায় এবার মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের নতুন উদ্যোগ ‘আলী যাকের গবেষণা অনুদান’।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঢাবির থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি আশিকুর রহমান লিয়ন এবং মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন সারা যাকের সই করেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আশিকুর রহমান লিয়ন বলেন, “প্রথম পর্বের অনুদান হিসেবে আড়াই লাখ টাকার চেক প্রদান করেছেন সারা যাকের। বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব বিশেষায়িত বিভাগ রয়েছে, তাদের পড়াশোনার ক্ষেত্র অনেক বেশি বিস্তৃত। আমাদের মাঠপর্যায়ে অনুশীলন করতে হয়, গবেষণা করতে হয় এবং গবেষণা থেকে প্রাপ্ত বিষয়সমূহ মঞ্চে উপস্থাপন করতে হয়। যার ফলে আমাদের অনেক বেশি অর্থের প্রয়োজন হয়৷ যার সম্পূর্ণ যোগান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হয় না।”
এই পরিস্থিতিতে গবেষণা অনুদান দেওয়ার জন্য মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি বলেন, “এমন একজন ব্যক্তির নাম মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের গবেষণার সঙ্গে মিশে থাকবে, যিনি বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি এবং এভাবেই তিনি বিভাগের সঙ্গে আজীবন থেকে যাবেন। তিনি সবসময়ই বিভাগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন, একইসঙ্গে তিনি আমাদের কাছে আবেগের বিষয়।”
সারা যাকের বলেন, “আমরা গবেষণা অনুদান দিয়ে থিয়েটার বিভাগের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারছি, এটা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। আমরা জানি, থিয়েটার বিভাগের শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি মাঠপর্যায়ে কাজ করতে হয় এবং এই কর্মপ্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যারা বের হয় তারা অনেক প্রায়োগিক এবং তাত্ত্বিক জ্ঞান রাখে।
“বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় তাদেরকে যে ট্রেনিং দেওয়া হয় তা অনবদ্য। তাদেরকে আমরা অনন্য উচ্চতার আসনে দেখি। আমরা যত বেশি তাদের পাশে এগিয়ে আসব, দেশের নাটকের ভবিষ্যৎ তত বেশি উজ্জ্বল হবে। আমরা যৌথ প্রয়াসে ১০ বছরের মধ্যে দেশের মঞ্চ নাটককে পেশাদারিত্বের জায়গায় নিয়ে যেতে চাই।”
অনুষ্ঠানে থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. ইস্রাফিল শাহিন, ড. আহমেদুল কবির, কাজি তামান্না হক, তানভীর নাহিদ খান, সহযোগী অধ্যাপক সুদীপ চক্রবর্তীসহ বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।