হাসপাতালে আমিষ জাতীয় খাবার পরিবেশন না করায় দারুণ বিরক্ত হয়ে বাড়িই চলে গিয়েছিলেন ঋষি কাপুর।
Published : 12 Apr 2025, 03:55 PM
বলিউড তারকাদের বেশিরভাগই চিকিৎসার প্রয়োজনে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালকে বেছে নেন। সেখানে তারা কেমন থাকেন, চিকিৎসা সেবা নিয়ে তাদের মনোভাব কেমন, হাসপাতালের দেওয়া খাবার নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকেন কী না সে বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতা সামনে এনেছেন লীলাবতীর পুষ্টিবিদ খ্যাতি রূপানি।
তিনি বলেছেন হাসপাতালে আমিষ জাতীয় খাবার পরিবেশন না করায় একবার দারুণ বিরক্ত হয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুর। অমিতাভ বচ্চন তার মা তেজি বচ্চনের চিকিৎসার সময় হাসপাতালের কর্মীদের বারবার সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাতেন। আর সাইফ আলী খান একবার এমন একটি খাবারের আবদার করে বসেন, যা ওই সময়ে তার জন্য ক্ষতিকর ছিল।
পুষ্টিবিদ খ্যাতি রূপানির এমন অভিজ্ঞতার গল্প তুলে ধরেছে সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’।
ইউটিউবে সঞ্চালক রৌনক কোটিচাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খ্যাতি রূপানি সাইফের কথা তুলে ধরে বলেছেন, নবাবপুত্তুর ২০০৭ সালে একবার লীলাবতীতে ভর্তি হয়েছিলেন অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির জন্য।
তিনি বলেন “ওই সময় কেন তাকে মিষ্টি খেতে দেওয়া হচ্ছে না সেটি নিয়ে সাইফ ডায়েটিশিয়ানকে ব্যস্ত করে তোলেন। আমি বলেছিলাম, আপনার সবেমাত্র অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে। আমি আপনাকে মিষ্টি অবশ্যই দেব, তবে পরে। আমরা দেখছি কী পাঠানো যায়। তার পর কাস্টার্ড আর জেলি দিয়েছিলাম।”
অভিনেতা ঋষি কাপুর একবার অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন রূপানি।
এই পুষ্টিবাদ বলেন, কারণ তিনি (ঋষি কাপুর) যা খেতে চাইতেন তা দেওয়া সম্ভব হত না।
রূপানি বলেন, “মিস্টার ঋষি কাপুর এমন একজন মানুষ ছিলেন, যিনি তার খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিলে বিরক্ত হতেন। আমিষের জায়গায় নিরামিষ ছিল অপছন্দের বিষয়ে। অন্যদিকে তার স্ত্রী নিতু কাপুর আমিষ বা মিষ্টি দিতে বারণ করতেন। আমি আমার মত করে চেষ্টা করতাম যাতে তাকে ভালো রাখা যায়।”
খ্যাতি রূপানির কথায় জানা গেল, অমিতাভ বচ্চনের মা তেজি বচ্চনের একটা সময় হাসপাতালে টানা এগারো মাস থাকতে হয়েছিল।
“ওই সময় তাকে নাকে নল লাগিয়ে খাওয়াতে হত। ৪০০ বেডের হাসপাতালে প্রতিদিন সময়মত খাবার সরবরাহ করা সহজ নয়। কখনও খাবার দিতেও দেরি হতে। আমাদের নুন ছাড়া খাবারও তৈরি করতে হয়েছে ওনার জন্য।”
তবে বচ্চন পরিবার খুব সহযোগিতা করেছে বলে জানিয়েছেন এই পুষ্টিবিদ।
“মিস্টার বচ্চন আমাদের কর্মীদের বারবার সতর্ক করতেন, অনুরোধ করতেন তার মায়ের দিকে যেন লক্ষ্য রাখা হয়।”