মঙ্গলবার ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল মারা যান।
Published : 30 Jul 2024, 01:12 PM
এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই, দেশে-বিদেশে চিকিৎসা আর এ সবের মধ্যেই জীবিকা চালিয়ে নেওয়ার সংগ্রাম থামিয়ে চলে গেলেন নব্বই দশকের গায়ক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল।
মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
জুয়েলের মেজ ভাই মহিবুল রেজা রুবেল গ্লিটজকে বলেন, “ওর অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু গত রাত থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যাটা হঠাৎ বেড়ে যায়। সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন করে আমাদের সবাইকে আসতে বলা হয়৷ আমরা হাসপাতালে পৌঁছানোর ৩০-৪০ মিনিট পরে জুয়েল মারা যায়।”
জুয়েলের মরদেহ বনানীর বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানিয়ে তার ভাই বলেন, “বাদ আসর গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজা হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে তার দাফন হবে।”
২০১১ সাল থেকে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন জুয়েল। শুরুতে যকৃতে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সেখান থেকে এই মারণব্যধি ছড়িয়ে পড়ে ফুসফুসেও।
দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে জুয়েলের চিকিৎসা হয়েছে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই শরীর খারাপ করছিল জুয়েলের।এর মধ্যে শ্বাসকষ্ট গুরুতর হলে গত ২৩ জুলাই তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল বলে গ্লিটজকে জানিয়েছিলেন রুবেল।
গান গাওয়ার পাশাপাশি টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতাও ছিলেন এই গায়ক। যুক্ত ছিলেন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজেও।পরিবারে তার স্ত্রী এবং এক মেয়ে আছে।
নব্বইয়ে দেশে ব্যান্ড সংগীত নিয়ে যখন তুমুল উন্মাদনা শুরু হয়, জুয়েল সংগীত জগতে পা রাখেন ঠিক সেই সময়টায়। তার প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে।
এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে (১৯৯৪)’, ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)।
জুয়েলের ১০টি একক অ্যালবামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি। এটি প্রকাশের পর তার নাম হয়ে যায় ‘এক বিকেলের জুয়েল’।
পুরনো খবর