“বাহিনীতে পরে একজন ড্রিল প্রশিক্ষকের সহকারী হতে পেরেছিলাম।”
Published : 18 Oct 2024, 04:49 PM
সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের জে-হোপ যখন বেসামরিক জীবনের আলো-বাতাসে প্রথম পা রাখেন, তখন প্রথমেই পাশে পেলেন সহশিল্পী জিনকে।
জিন সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলের হাতে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে, দলের বন্ধুকে বরণ করে নিতে। দেখা হতেই দুই বিটিএস তারকা যখন একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন, সেই মুহূর্তকে উপদাপন করতে চারপাশে তখন কেবল করতালির শব্দ; সেই সঙ্গে বহু আলোকচিত্রী ব্যস্ত হয়ে পড়েন ক্যামেরার সেই দৃশ্যটি বন্দি করে রাখতে।
দ্য কোরিয়া টাইমস বলছে, সামরিক পোশাক পরা জে-হোপ মিলিটারি একাডেমির বাইরে কথা বলতে শুরু করলে, উপস্থিত এক নারী সাংবাদিকের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন জিন। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে হাঁটু গেড়ে জে-হোপের সামনে বসে যান এই তরুণ গায়ক।
৩০ বছর বয়সী জে-হোপ বলেছেন, এখন তিনি তার জীবনের ‘তৃতীয় অধ্যায়’ শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সামরিক জীবনে থাকাকালীন ভক্তদের কাছ থেকে পাওয়া সমর্থনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জে-হোপ বলেন, “আমার প্রথম কাজ হবে গানে মনোযোগ ফেরানো এবং ওজন কমানো। আপনাদের সামনে নিজেকে ফের সুন্দরভাবে তুলে ধরতে চাই। আর উপহার দিতে চাই নতুন নতুন কাজ।“
প্রশিক্ষণের সময় ভক্তদের কাছ থেকে পাওয়া চিঠি নিয়ে তিনি বলেন, “বিটিএস এবং আমার প্রতি আপনাদের ভালোবাসা মর্মে মর্মে অনুভব করেছি। অনুভব করেছি আপনাদের সবার আবেগ কতটা অকৃত্রিম ছিল।“
এই কটি মাস কেমন কেটেছে সে আভাসও মিলেছে জে-হোপের কথায়।
“নিজেকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করেছি, দায়িত্বশীল হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ও ছিল মনের মধ্যে।বাহিনীতে পরে একজন ড্রিল প্রশিক্ষকের সহকারী হতে পেরেছিলাম।কাজের অভিজ্ঞতা ভালো ছিল। আর আমাদের যে খাবার দেওয়া হত, সেগুলো দারুণ সুস্বাদু ছিল।“
সবার প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে ভালো কিছু কাজের প্রতিশ্রুতির দিয়েছেন জে-হোপ।
“কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে সেটি পূর্ণাঙ্গ নয়। কী কী করা যায়, তা নিয়ে আরো ভাবতে হবে।”
বিটিএসের এজেন্সি বিগহিট মিউজিক বিবৃতিতে বলেছে, “জে-হোপের প্রত্যাবর্তনের দিন কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা তারা ইচ্ছা করেই রাখেননি। এর কারণ ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়ের ফলে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয় সেজন্য তাদের না আসার পরামর্শও দেওয়া হয়।”
কোরীয় তরুণদের এই প্রশিক্ষণ পর্বের প্রস্তুতি শুরু হয় সাধারণ ১৮ বছর বয়স থেকে। ২০ বছর বয়সের মধ্যে তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয় যে, আদৌ সেই তরুণ সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য উপযুক্ত কী না। পরীক্ষায় পাস করলে পরে সুবিধাজনক সময়ে টানা ১৮ মাসের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণে যেতে হয় তরুণদের।
তবে ২০২২ সালে আইন সংশোধন করে বিশেষ ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিল করে ৩০ বছর করা হয়। এই 'বিশেষ ক্ষেত্রের' মধ্যে পড়েছে বিটিএসের সদস্যরা।
বিটিএসের জিন ও জে-হোপ ছাড়া বাকি সদস্যদের মধ্যে আরএম, জিমিন, ভি ও জাংকুক এখনো প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণে থাকার কারণে বর্তমানে কনসার্টে অংশ না নিলেও গান চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
বিগহিট মিউজিক জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জুনে সামরিক বাহিনী থেকে তাদের দায়িত্ব শেষ হবে।