দুই দিনের স্মরণানুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য 'মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো'।
Published : 05 Aug 2023, 12:14 AM
বর্ষা বিষয়ক গানের পাশাপাশি প্রেম, পূজা ও প্রকৃতি পর্যায়ের গান ও কবিতা দিয়ে স্মরণ করা হচ্ছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে।
শুক্রবার ঢাকায় বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার আয়োজনে শুরু হয়েছে দুই দিনের এ ‘রবীন্দ্র স্মরণানুষ্ঠান’।
প্রতিষ্ঠানটির অর্ধশতাধিক শিল্পী ছাড়াও দেশের খ্যাতিমান বেশ কয়েকজন শিল্পী এ আয়োজনে অংশ নিচ্ছেন। প্রথম দিনে অংশ নেন ২৩ জন শিল্পী।
২২ শে শ্রাবণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। ৮২তম এ প্রয়াণবার্ষিকীতে ঢাকার ধানমন্ডিতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস (ইউল্যাব) এর রিসার্চ বিল্ডিং মিলনায়তনে আয়োজিত এ স্মরণানুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য 'মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো'।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন শিল্পী সংস্থার সহসভাপতি কাজল মুখার্জী। অস্ট্রেলিয়া থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি তপন মাহমুদ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন রাবিতা সাবাহ।
আয়োজক সংগঠক জানায়, ১৯১৪ সালে কবিগুরু শান্তিনিকেতনে বসে লিখেছেন ‘মাঝে মাঝে প্রাণে তোমার পরশখানি দিয়ো’। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ইন্দিরা দেবীর স্মরলিপিতে সাহানা রাগে ও ঝাঁপতালে রচিত পূজা পর্যায়ে এই গানটিই এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে।
তপন মাহমুদ বলেন, "প্রতি বছর কবিগুরুকে তারই রচিত গান ও কথামালা দিয়ে স্মরণ করা হয়। এবারও তার ব্যতয় হয়নি।"
প্রথম দিনের আয়োজনে খন্দকার খায়রুজ্জামান কাইয়ুম গেয়ে শোনান ‘আজি শরততপনে’, তানজীনা তমা গাইলেন ‘মরণ রে তুঁহুঁ মম শ্যাম সমান’, আজিজুর রহমান তুহিনের কণ্ঠে শোনা গেল ‘আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু’।
রাকিবা খান লুবা গাইলেন ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’, সুস্মিতা মণ্ডল গেয়েছেন ‘এই করেছ ভালো নিঠুর হে’, শিমু দে গাইলেন ‘আমার প্রাণের পরে চলে গেলো’, প্রজ্ঞা লাবনী ‘মধ্যদিনের বিজন বাতায়নে’, সুমাইয়া ফারাহ খান ‘দীর্ঘ জীবনের পথ’, আক্তারম্নজ্জামান সবুজ গাইলেন ‘সুরের গুরু দাও গো’, নাসরিন আক্তারের কণ্ঠে শোনা গেল ‘আজ কিছুতে যায় না মনের ভার’, বীণা দত্ত গাইলেন ‘আমার হিয়ার মাঝে’, নকুল চন্দ্র দাস ‘দাঁড়াও আমার আঁখির আগে’, বর্ষা রাহা গাইলেন ‘বিশ্বসাথে যোগে’, পরেশ চন্দ্র ভৌমিক ‘আমি শ্রাবণ আকাশে’, পারভীন আক্তার ‘ডাকব না ডাকব না অমন করে’, সাজ্জাদ হোসেন ‘কেন চোখের জলে’, আবদুর রশীদের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মরণের মুখে রেখে’, সঞ্জীব সূত্রধর গাইলেন ‘পেয়েছি ছুটি, বিদায় দেহো ভাই’, মাহযাবীন শাওলী গাইলেন ‘তুমি কি কেবলই ছবি’, দীপা চৌধুরী ‘যদি তোমার দেখা না পাই প্রভু’, ড. মাশফিদা আক্তার ‘ওই মালতী লতা দোলে’ এবং বিলু সিদ্দিকী গাইলেন ‘না চাহিলে যারে পাওয়া যায়’।
প্রথম দিনে আয়োজনের সমাপ্তি হয় আজিজুর রহমান তুহিনের পরিকল্পনায় রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুভাবনা নিয়ে গীতালেখ্য 'তবুও অনন্ত জাগে' পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।
শনিবার অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ও সমাপনী দিনে গাইবেন স্মৃতি কনা পাল, অভিজিৎ দে, সুমনা দাস, জান্নাতুন নাইম পিংকী, পূরবী রায়, সুষ্মিতা দাস, শিল্পী সাহা, জয়শ্রী রায়, গায়ত্রী আচার্য, লিটন চন্দ্র বৈদ্য, সুচিত্রা চক্রবর্তী, মৃদুল চক্রবর্তী, সর্বাণী চক্রবর্তী, হুমায়রা মোর্শেদ, অলি রায় ভৌমিক, ফারজানা ইয়াসমিন লুনা, উত্তম সাহা, মনীষা কুন্ডু, সাজিদা সোনিয়া খান ইতি, সাবরিনা রহমান, শেখর কুমার কর্মকার, রমা বাঁড়ৈ, কাকলি গোস্বামী ও তনুশ্রী দীপক।
এছাড়া থাকবে একক আবৃত্তি পরিবেশনা। এতে অংশ নেবেন মজুমদার বিপ্লব। একই ভেন্যুতে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে সমাপনী আয়োজন, যা সবার জন্য উন্মুক্ত।