আমেরিকার পুরস্কারজয়ী চারজন ‘হিপ হপ’ শিল্পী ঢাকায় এসে দেন বাংলাদেশি ৫৪ জনকে প্রশিক্ষণ, তাদের পরিবেশনা হল নাট্যশালায়।
Published : 02 Sep 2022, 01:07 AM
ঢাকার জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে সঙ্গীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ‘আর্টস এনভয় প্রোগাম’ এর হিপ হপ কর্মশালা। সমাপনী দিনে ৫৪ জন বাংলাদেশি শিল্পী এবং চারজন আমেরিকান প্রশিক্ষকের পরিবেশনা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনে ইয়েস একাডেমি আমেরিকান প্রশিক্ষকদের দিয়ে বাংলাদেশি তরুণদের সঙ্গীত প্রযোজনা, র্যাপ ও ব্রেকড্যান্স শেখার সুযোগ করে দেয়। সেই ‘হিপ হপ’ কর্মশালার সমাপনীতে হয় এই সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঞ্চে এসে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেন, “গত ৫ দশক ধরে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের অংশীদার হতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বের মূলে রয়েছে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতা।”
ইয়েস একাডেমির এই উদ্যোগ দুই দেশের পাস্পরিক বোঝাপড়ার এবং সৃজনশীলতা ও সহযোগিতার বাড়ানোর ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষার একটি উদাহরণ হিসেবে দেখান তিনি।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, “এই মুহূর্তটি সবার জন্য ভীষণ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শিল্প এবং শিল্পী পৃথিবীতে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেয়, যে কারণে এই অনুষ্ঠানটি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।”
কথামালার পর তারপর মঞ্চে আসে ‘এভার গ্রিন’। ‘অস্থির সবই অস্থির’ শিরোনামের র্যাপ মুগ্ধ করে দর্শকদের। দেড় ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে কয়েক ভাগে শিল্পীরা পরিবেশন করে র্যাপ, ব্রেক ড্যান্স।
‘এক সাথে লড়বো/যতই আসুক বিপদ’ গানের কথায় যেমন সম্মিলিত হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া হয়। আবার বাংলাদেশি বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে পাশ্চাত্য সঙ্গীতের ফিউশনও দেখা যায় মঞ্চে।
‘হতে চাই আমি যন্ত্রবিমুখ’ শিরোনামে বারুদের পরিবেশনাসহ প্রতিটি পরিবেশনার পর দর্শকের মুহুর্মুহু করতালি জানিয়ে দিয়েছে দারুণ সফল একটি সাংস্কৃতিক আয়োজন উপহার দিতে পেরেছেন শিল্পীরা।
আয়োজকরা জানান, আমেরিকান ভয়েসেসের সঙ্গে যৌথভাবে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস পুরস্কারজয়ী ৪ জন হিপহপ শিল্পীকে ঢাকায় এনেছিল। তারা গত ২৫ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর ৫৪ জন উদীয়মান বাংলাদেশি ‘হিপ হপ’ তারকা শিল্পীদের নিয়ে একটি ধারাবাহিক কর্মশালা করে। এই কর্মশালাটি এডওয়ার্ড এম কেনেডি সেন্টার ফর পাবলিক সার্ভিস অ্যান্ড আর্টসে অনুষ্ঠিত হয়।
আমেরিকান ভয়েসেস মূলত যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাংস্কৃতিক কূটনীতি সংস্থা। ২০০৭ সালে চালু হওয়া ইয়ুথ অ্যাক্সিলেন্স অন স্টেজ বা সংক্ষেপে ইয়েস একাডেমি আমেরিকান ভয়েসেসের সাংস্কৃতিক কূটনীতির ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি হিসেবে কাজ করে আসছে, যার লক্ষ্য হলো আমেরিকার কয়েকটি শ্রেষ্ঠতম সাংস্কৃতিক ঘরানার উপর বিশ্বজুড়ে তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এডুকেশনাল অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স এবং আমেরিকান ভয়েসেসের অংশীদারিত্বে পরিচালিত কয়েকটি আর্টস এনভয় প্রোগ্রামের মধ্যে একটি হল ইয়েস একাডেমি।