কেবল দৃশ্য নয়, সেন্সর বোর্ড সিনেমার একটি জায়গায় একটি পরিবারের পদবি পরিবর্তন করার কথাও বলেছে।
Published : 11 Sep 2024, 07:42 PM
তিনটি দৃশ্যে কাঁটছাটের শর্তে অবশেষে সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে বিজেপির এমপি, বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের সিনেমা ‘ইমার্জেন্সি’।
টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে বাংলাদেশি শরণার্থীদের ওপর হামলার দৃশ্য দেখাতে রাজি নয় ভারতীয় সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন-সিবিএফসি।
এছাড়া একজন সেনার হাতে একটি শিশুর মাথা থেঁতলে দেওয়ার দৃশ্য এবং তিন জন নারীর শিরশ্ছেদ করার দৃশ্যও বাদ দিতে বলেছে সেন্সর বোর্ড।
কেবল দৃশ্য নয়, সেন্সর বোর্ড সিনেমার একটি জায়গায় একটি পরিবারের পদবি পরিবর্তন করার কথা বলেছে।
সিনেমাটিকে ‘ইউ/এ’ তকমা দেওয়া হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে। এর অর্থ হল, সিনেমাটি দেখার ক্ষেত্রে ১৮ বছরের নিচের দর্শকদের তাদের অভিভাবকদের অনুমতির প্রয়োজন হবে।
সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র মিললেও মুক্তির তারিখ এখনো ঘোষণা করেননি কঙ্গনা।
ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে নিয়ে নির্মিত 'ইমার্জেন্সি’ মুক্তির কথা ছিল আগামী ৬ সেপ্টেম্বর; মাসের শুরুতে সেন্সর ছাড়পত্রও মিলে যাবে বলে আশায় ছিলেন কঙ্গনা।
কিন্তু ‘তথ্য বিকৃতির’ অভিযোগে সেন্সর বোর্ড এই সিনেমা মুক্তিতে সবুজ সংকেত দেয়নি সে সময়।
এদিকে ‘ইমার্জেন্সি’ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই ভারতের শিখদের। সেন্সর বোর্ডে সিনেমাটি আটকে দেওয়ার পেছনে শিখদের দায়ী করেছিলেন কঙ্গনা। এছাড়া সেন্সর বোর্ডের ভূমিকাকে ‘হতাশাজনক এবং অন্যায়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করা বিজেপির এই এমপি।
সিনেমাটি আটকে দিতে কঙ্গনার বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশে হাই কোর্টে একটি রিট মামলা করা হয় জবলপুরের একটি শিখ সংগঠনের পক্ষ থেকে। এর পর সিনেমা মুক্তিতে স্থগিতাদেশ আসে আদালতের পক্ষ থেকে। শিখ সম্প্রদায় থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কঙ্গনা।
১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধী নিহত হয়েছিলেন তার শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে। সিনেমায় ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
বিজেপির কট্টর সমর্থক কঙ্গনা প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের নেত্রী ইন্দিরাকে কোন রূপে দেখাতে চাইছেন, তা নিয়ে বেশ কৌতূহল রয়েছে সব মহলে। তবে কঙ্গনা শুরু থেকে বলে আসছেন, ‘ইমার্জেন্সি’ কোনো বায়োপিক না, এটি একটি রাজনৈতিক সিনেমা।
সিনেমার পটভূমি গত শতকের সত্তরের দশক, ভারতে তখন ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন থেকে পরবর্তী ২১ মাস ভারতে জরুরি অবস্থা চলে। সিনেমায় সেই সময়ের রাজনৈতিক আবহ তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে বলে কঙ্গনার ভাষ্য।
এ সিনেমায় তিনি কেবল নাম ভূমিকাতেই অভিনয়ই করেননি, পরিচালনা এবং প্রযোজনার মত গুরু দায়িত্ব ছিল তারই কাঁধে।
কঙ্গনা ছাড়াও অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়াস তালপাড়ে, বিষক নায়ার, সতীশ কৌশিকসহ একাধিক অভিনয়শিল্পীকে দেখা যাবে এ চলচ্চিত্রে।
আরও পড়ুন
সেন্সরের খাঁড়ায় কঙ্গনার 'ইমার্জেন্সি