"চলচ্চিত্রটির আসল প্রাণ লামার সেই ম্রো পাড়ার মানুষেরা, যারা শুধু অভিনেতা নয়, বরং নিজেরাই হয়ে উঠেছেন গল্পকার।"
Published : 05 Mar 2025, 04:06 PM
যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম ম্রো ভাষার চলচ্চিত্র ‘কিওরি পেক্রা উও’।
সিনেমাটির ইংরেজি নাম ‘ডিয়ার মাদার’; বানিয়েছেন এস কে শুভ সাদিক।
এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্মাতা জানিয়েছেন, বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় ইনডিজিনিয়াস স্টাডিজ গ্রুপ কেমব্রিজের আয়োজনে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে।
২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ৬৭ মিনিটের। এরমধ্যেই বাংলাদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেমাটি দেখান হয়েছে।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর যাত্রা অব্যাহত রাখতে সিনেমাটি কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব এডিনবরার মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়েছে। এবার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শনী হচ্ছে।
পরিচালক সাদিক বলেন, "এটি শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, এটি একপ্রকার ঘোষণাপত্র, একটি প্রতিরোধ, একটি প্রমাণ যে সিনেমা কোনো করপোরেশন বা বিনিয়োগকারীদের সম্পত্তি নয়। এটি তাদের, যারা সাহস করে নিজেদের গল্প বলে। আমরা অতি সীমিত বাজেটে কাজ করেছি, কিন্তু প্রমাণ করেছি যে সিনেমার সফলতা টাকার অঙ্কে নয়, বরং এর ক্ষমতায় এবং হারিয়ে যেতে বসা কণ্ঠগুলোকে সংরক্ষণ করার।
"এখন প্রযুক্তি আমাদের হাতে, আমাদের আর প্রচলিত সিনেমার ছক মেনে চলতে হবে না। সময় এসেছে নতুন আখ্যান খোঁজার, বাঁধাধরা কৌশল থেকে বেরিয়ে আসার এবং সিনেমাকে শিল্প হিসেবে পুনরুদ্ধার করার।"
সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন সাইয়িদ শাহজাদা আল করীম, চিত্রগ্রহণ করেছেন হাসনাত সোহান, শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন নিশাত রাফা, চিত্র সম্পাদনা করেছেন বায়েজীদ খান, নির্বাহী প্রযোজনা করেছেন মশিউর রহমান এবং সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন উত্তম মারমা উচিং।
পরিচালক বলেন, "চলচ্চিত্রটির আসল প্রাণ ছিল লামার সেই ম্রো পাড়ার মানুষেরা, যারা শুধু অভিনেতা নয়, বরং নিজেরাই হয়ে উঠেছেন গল্পকার।"
সিনেমাটি অপোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে (কোরিয়া) অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছে।
এছাড়াও সিনেমাটিকে আমস্টারডামের ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর সোশ্যাল সায়েন্স সংরক্ষণ করেছে, যাতে এটি ভবিষ্যতে গবেষক ও চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে ওঠে।