অস্ত্রোপচার হওয়ায় সংক্রমণ এড়াতে দর্শনার্থী এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সাইফকে।
Published : 21 Jan 2025, 05:01 PM
ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার ছয়দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন ভারতীয় হিন্দি সিনেমার অভিনেতা সাইফ আলী খান।
এনডিটিভি লিখেছে, শহরের লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাইফ এখন ভালো আছেন, তবে আগামী কিছুদিন অভিনেতাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে।
এছাড়া অস্ত্রোপচার হওয়ায় সংক্রমণ এড়াতে দর্শনার্থী এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সাইফকে।
হাসপাতাল ছেড়ে কাছেই বান্দ্রার বাড়িতে যাওয়ার সময় সাইফের সঙ্গে ছিলেন তার মা বর্ষীয়ান অভিনেতা শর্মিলা ঠাকুর।
সাইফ যখন হাসপাতাল ছাড়ছিলেন, তখন তাকে এক ঝলক দেখতে লীলাবতী ঘিরে জড়ো হন বহু মানুষ। এছাড়া সাইফের হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে এবং বান্দ্রার বহুতল ভবনটি ঘিরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।
প্রথমে চিনতেই পারিনি উনি সাইফ আলী: অটোরিকশা চালক
সিসিটিভির ব্যক্তি কী সাইফের হামলাকারী? পুলিশের অভিযান জোরদার
অভিনেত্রী স্ত্রী কারিনা কাপুর, দুই ছেলে তৈমুর আলী খান ও জাহাঙ্গীর আলী খানকে নিয়ে সাইফ বান্দ্রার ‘সৎগুরু শরণ’ নামের ১২ তলা অ্যাপার্টমেন্টের চারতলায় বিশাল একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। ওই বাড়িতে তিনজন গৃহকর্মীও থাকেন।
সাইফকে ছুরিকাঘাত করা হয় বুধবার রাত আড়াইটার দিকে। তার বাড়িতে প্রবেশ করা এক ব্যক্তি তাকে ছুরি মেরে পালিয়ে যান। পরে বাড়ির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিওতে ধরা পড়া ওই ব্যক্তির ছবিও এসেছে সংবাদমাধ্যমে। পুলিশ ধারণা করছে, হামলাকারী ‘চুরি করতে’ ওই বাড়িতে ঢুকেছিলেন।
ওই রাতেই শহরের লীলাবতী হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তির পর সাইফের শরীর ৫ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর চিকিৎসকরা বলেছিলেন নায়কের শরীরে ছয়টি ক্ষত ছিল। সেগুলোর মধ্যে মেরুদণ্ডের দুই ক্ষতকে বিপজ্জনক বলেছেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারে সাইফের শরীর মেরুদণ্ডের খুব কাছ থেকে ছুরির আড়াই ইঞ্চির ভাঙা অংশও বের করা হয়।
অস্ত্রোপচারের পর একদিন আইসিইউতে রেখে তারপর কেবিনে আনা হয় এই অভিনেতাকে।
সাইফের হামলাকারীকে দেখা গেছে বান্দ্রা স্টেশনে
গভীর রাতে নিজের বাড়িতে ছুরিকাহত বলিউড তারকা সাইফ আলী খান
আড়াই ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর আইসিউতে সাইফ
এদিবে হামলাকারীকে খুঁজে বের করতে বৃহস্পতিবার থেকে উঠেপড়ে লাগে মুম্বাই পুলিশ। পতৌদি নবাবপুত্রের হামলাকারীকে ধরতে পুলিশের ৩৫টি টিম কাজ করেছে। এর মধ্যে সাইফের ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে শরিফুল ইসলাম শেহজাদ ও আকাশ কৈলাস ক্যানোজিয়া নামের দুই ব্যক্তিকে।
দুইজনের মধ্যে শেহজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের হেফাজতে পেয়েছে মুম্বাই পুলিশ।
পুলিশ বলছে বাংলাদেশের নাগরিক শেহজাদ চার মাস ধরে মুম্বাইয়ে থাকছেন। নাম পাল্টে রাখেন বিজয় দাস। তিনি একটি হাউজিং কোম্পানিতে চাকরি করতেন
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আসা ছবি দেখে শেহজাদকে শনাক্ত করেছেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার মোল্লারহাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সালাম।
তিনি বলেন, “শেহজাদ নলছিটি থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। হত্যা মামলার পর তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরিবারের সঙ্গেও তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। এলাকায় তিনি ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।
“২০১৭ সালে মোল্লারহাট স্টিল ব্রিজের কাছে ভাড়ায় মোটরসাইকেলের চালক রফিকুল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় রাজাবাড়িয়া গ্রামের মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে আসামি করা হয়। এ ঘটনার পরে তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান।”
এলাকায় থাকার সময় তিনি ছিনতাই, চুরি ও মারামারিতে জড়িত ছিলেন- এমন অভিযোগও রয়েছে বলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জানান।
আর যদি ২ মিলিমিটার গভীরে ঢুকত ছুরি...
গাড়ি না পেয়ে রক্তাক্ত সাইফকে অটোতে হাসপাতালে নেন ইব্রাহিম