সাংস্কৃতিক সংগঠন নন্দনের আয়োজনে পঞ্চকবির গানে মেতেছে ধানমন্ডি ক্লাব।
Published : 09 Jun 2023, 09:30 PM
দিনভর বৃষ্টির পর স্নিগ্ধ বিকালে পঞ্চকবির গানের সুরে মেতেছে ঢাকার ধানমন্ডি ক্লাব।
শুক্রবার বিকালে ওই ক্লাব মিলনায়তনে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন, অতুলপ্রসাদ সেন ও কাজী নজরুল ইসলামের গান পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘নন্দন’ এর দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়; গানের ফাঁকে ফাঁকে চলে আবৃত্তি।
নন্দনের পরিচালক ফেরদৌসী কাকলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০০৩ সাল থেকে নন্দন এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে। এটি মূলত শ্রোতার আসর। ৭৪তম এই আয়োজনে শুদ্ধসংগীত চর্চার প্রসারে নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের মেলবন্ধন তৈরি করাটাই আমাদের উদ্দেশ্য।”
‘পঞ্চকবির গান- জীবন যখন ছিল ফুলের মতো’ শিরোনামে অনুষ্ঠান শুরু হয় অপর্ণা মজুমদারের কণ্ঠে নজরুল সঙ্গীত 'নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখিজল' পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। পরে তিনি শোনান 'যত ফুল তত ভুল'।
গায়ত্রী আচার্য শোনান অতুলপ্রসাদ সেনের 'মুরলী কাঁদে রাধে রাধে বলে' এবং 'যাবো না যাবো না, যাবো না ঘরে'। মঞ্চে মিতা দে শোনান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পূব হাওয়াতে দেয় দোলা' এবং 'হৃদয়ের এ কূল ও কূল'।
অরুন্ধতী অনুপ্রভা শোনান রজনীকান্ত সেনের 'প্রেমে জল হয়ে যাও গলে' এবং 'বেলা যে ফুরাইয়ে যায়'। তনুশ্রী দীপক শোনান দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের 'সে কেন দেখা দিলো রে' এবং 'আমি সারা সকালটি বসে বসে'।
শামীম আমিনুর রহমান মঞ্চে আসেন গিটার হাতে নিয়ে৷ তিনি শোনান নজরুলসংগীত 'মম বন ভবনে' এবং 'কেন ভোরের শিশির' । এরপর ইরাবতী মণ্ডল শোনান অতুল প্রসাদ সেনের 'কার লাগি সজল আঁখি' এবং 'হে পান্থ বারেক ফিরে চাও'।
আশরাফুল ইসলাম রাঙা 'বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা' এবং 'বিশ্বসাথে যোগে যেথায়' গেয়ে শোনান। আবিদা রহমান সেতু শোনান রজনীকান্ত সেনের 'আমি অকৃতি অধম' এবং 'কবে এ তৃষিত মরু'।
গানের ফাঁকে জয়ন্ত রায়ের পরিবেশনায় পাঠ ও আবৃত্তি চলেছে।