হৃত্বিক ও সাবা মুম্বাইয়ে একটি সিনেপ্লেক্সে গিয়েছিলেন ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’ দেখতে।
Published : 31 Jul 2024, 03:29 PM
অনন্ত আম্বানির বিয়েতে হৃত্বিক রোশনকে একা দেখার পর থেকে শুরু হয়েছিল গুঞ্জন; তবে কি সাবা আজাদের জন্য নায়কের প্রেম উবে গেছে?
সেই গুঞ্জনে জল ঢেলেছেন হৃত্বিক ও সাবা। টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, গত সোমবার আলোকচিত্রীদের ক্যামেরায় একসঙ্গে ধরা পড়েছেন দুজন।
তারা গিয়েছিলেন মুম্বাইয়ে একটি সিনেপ্লেক্সে ‘ডেডপুল অ্যান্ড উলভারিন’ সিনেমাটি দেখতে। পরস্পরের হাতে হাত রেখে প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে আসতেই আলোকচিত্রীরা হৃত্বিক-সাবার ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। দুজনের সেই ছবি প্রকাশ হতেই ভক্তদের জানে পানি ফেরে।
বয়সে ১৬ বছরের ছোট সাবার সঙ্গে হৃত্বিকের প্রেমের আভাস মিলেছিল ২০২২ সালে। ওই সময়ে দুজনকে হাত ধরাধরি করে প্রথম দেখা যায় মুম্বাই এয়ারপোর্টে। এরপর তারা জুটি বেঁধে দেখা দেন পরিচালক-প্রযোজক করণ জোহরের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে।
তারপর একই বছর প্যারিসের রাস্তা আর লন্ডনের জ্যাজ ক্লাব থেকে সাবাকে সঙ্গে নিয়ে ভিডিও পোস্ট করেছিলেন হৃত্বিক।
গত বছর শোনা যায় মুম্বাইয়ে অ্যাপার্টমেন্ট কিনে এই জুটি একসঙ্গে থাকছেন। এখন বাদ আছে কেবল বিয়ের আইনি আনুষ্ঠানিকতা।
এর আগে ‘সোর্ড অব টিপু সুলতান’ খ্যাত সঞ্জয় খানের মেয়ে সুজানকে ২০০০ সালে বিয়ে করেছিলেন হৃত্বিক। ১৪ বছরের দাম্পত্যের অবসান ঘটিয়ে ২০১৪ সালে দুই ছেলেকে নিয়ে হৃত্বিকের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যান সুজান।
হৃত্বিক সর্বশেষ কাজ করেছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘ফাইটার’ সিনেমায়।
২০০৮ সালে ‘দিল কাবাডি’ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দায় আসেন সাবা। ২০১১ সালে ‘মুছঝে ফ্রেন্ডশিপ কারোগি’ সিনেমায় আবার দেখা যায় তাকে। তবে তেমন আলোচনায় আসেনি সিনেমাটি। পরে ওয়েব সিরিজ ও নেটফ্লিক্সের দুটি অ্যান্থলজিতে তিনি কাজ করেছেন।
নেটফ্লিক্সের ‘ফিলস লাইক ইশক’ সিনেমায় সাবার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে হৃত্বিক টুইটারে প্রশংসা করেন। উত্তরে সাবা ‘স্যার’ সম্বোধন করে হৃত্বিককে বার্তা পাঠান সরাসরি মোবাইলে। সেই ‘স্যার’ই এখন তার প্রেমিক।
এদিকে কিছুদিন আগে সাবা অভিযোগ করেছেন, হৃতিকের প্রেমিকা হওয়ায় কাজ পাচ্ছেন না তিনি। হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কে তৈরি হওয়ার আগে প্রায় এক দশক কণ্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন সাবা। একাধিক বিজ্ঞাপনেও কণ্ঠ দিয়েছেন।
কিন্তু হৃতিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর নাকি তার হাতে কাজ কমে গেছে। এর কারণ হিসেবে সাবা দায়ী করেছিলেন সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতাকে।