সত্যজিতের সেই অনন্য সৃষ্টি ৬১ বছর পর বড় পর্দায় ফের দেখার সুযোগ মিলছে কলকাতাবাসীর জন্য।
Published : 20 Sep 2024, 01:42 AM
কলকাতা শহরের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প বলতে গিয়ে ষাটের দশকের সমাজের রূঢ় বাস্তবতা নিপুণ আঁচড়ে সত্যজিৎ রায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন তার ‘মহানগর’ সিনেমায়।
এই কিংবদন্তীর সেই অনন্য সৃষ্টি ৬১ বছর পর ফের বড় পর্দায় দেখার সুযোগ মিলছে কলকাতাবাসীর জন্য।
আনন্দবাজার লিখেছে, শুক্রবার দক্ষিণ কলকাতার প্রেক্ষাগৃহ নবীনায় মুক্তি পাচ্ছে মাধবী মুখোপাধ্যায় এবং অনিল চট্টোপাধ্যায় অভিনীত এই সিনেমাটি।
কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল ফের হলে আসছে ‘চাঁদের পাহাড়’। অর্থাৎ বলিউডকে অনুসরণ করে পুরনো সিনেমা নতুন করে মুক্তির পথে হাঁটতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিও।
নবীনা প্রেক্ষাগৃহের মালিক নবীন চোখানি পুরনো সিনেমার নতুন করে মুক্তি নিয়ে বলেন, “শহরে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক আন্দোলনকে সামনে রেখে একুশ শতক ফিরে দেখবে ষাট দশকের কলকাতাকে। যেমন আজকের নারী সহজে রাত দখলে পথে নামতে পারে, কিন্তু সেই যুগে কিন্তু সংসারের প্রয়োজনে চাকরি নেওয়ার আগে তাকে অনেক কিছু ভাবতে হত।“
প্রিয়া প্রেক্ষাগৃহের মালিক অরিজিৎ দত্ত বলিউডি সিনেমার সঙ্গে তুলনা টেনে বলেছেন, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘বীরজারা’, ‘পড়োসন’, ‘বম্বে টু গোয়া’র মতো সিনেমা যদি নতুন করে মুক্তির পর দর্শকরা আগ্রহের সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে আসতে পারেন, তা হলে সত্যজিৎ রায়ের সিনেমায় দেখতে কেন আসবেন না!
“সেই ভাবনা থেকেই এই সিনেমাটি বেছে নেওয়া হয়েছে” বলেন অরিজিৎ।
নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ‘অবতরণিকা’ গল্প অবলম্বনে ১৯৬৩ সালে এই সিনেমাটি বানিয়েছেন সত্যজিৎ।
নগরায়নের ফলে ষাটের দশকে বাঙালি মধ্যবিত্তের জীবনে তৈরি হওয়া নানা জটিলতা এবং তাদের মানসিক জগতের পরিবর্তন সত্যজিৎ রায় ‘মহানগর’ এ রূপায়িত করেছেন।
বাঙালি গৃহবধূর চাকরিজীবী হয়ে ওঠার সামাজিকভাবে সংকটপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি চিত্রিত হয়েছে এ সিনেমায়। এই চরিত্রটি করেছেন মাধবী মুখোপাধ্যায়।
এছাড়া ‘মহানগর’ দিয়ে অভিনয়ে যাত্রা শুরু হয় জয়া বচ্চনের, তখন তিনি পরিচিত ছিলেন জয়া ভাদুড়ি নামে।