মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে শুনানি শেষে মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ আদেশ দেন।
Published : 18 Feb 2025, 01:36 PM
ধর্ষণের অভিযোগে ক্যান্টনমেন্ট থানার মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে জামিন দিয়েছে আদালত।
শুনানিতে এই মামলার অভিযোগপত্রও আমলে নিয়ে মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী ইসরাত হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলাটির অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার দিন ছিল এদিন। সকালে প্রিন্স মামুন আদালতে উপস্থিত হয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষ জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।
ইসরাত হাসান বলেন, “উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মামুনের জামিন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে এ মামলার অভিযোগ পত্র আমলে নিয়েছেন বিচারক।"
লায়লা ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলাটি করেছিলেন ২০২৩ সালের ৯ জুন। পরের দিন কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মামুনকে। এরপর ১১ জুন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপর ওই বছরের ১ জুলাই জামিনে কারামুক্ত হন মামুন।
তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার উপপরিদর্শক মুহাম্মদ শাহজাহান আদালতে এ অভিযোগ পত্র দেন। এতে মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, “আসামি প্রিন্স মামুন ফেইসবুক আইডিসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে টিকটকার হিসেবে পরিচিতি পান। অন্যদিকে মামলার বাদী লায়লা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি বিবাহিত। প্রিন্স মামুনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে লায়লার সঙ্গে মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন মামুন।
“পরবর্তীতে তাদের প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। ঢাকায় থাকার মত প্রিন্সের কোনো বাসা না থাকয় নিজের বাসায় থাকার অনুমতি দেন লায়লা। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে লায়লার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকেন। এরপর মামুন ও তার বাবা-মা প্রায়ই সেই বাসায় এসে থাকতেন।এর মধ্যে মামুন লায়লাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেন।"
এজাহারে বলা হয়, মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয়ে বললে তিনি নানা অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ লায়লাকে ধর্ষণও করেন।